ঢাকা, রবিবার ০৮, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯:১১:০৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন কুমিল্লায় বন্যায় ১১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি যে কারণে বাড়ছে চালের দাম গাজায় টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা:নিহত ২৭ শুল্ক কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, ৩ জনের প্রাণহানী

শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা আর পাবেন না এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৯ এএম, ১৪ মে ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সংসদ সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা বন্ধ হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়িতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ হতে পারে। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।


গাড়ি আমদানিতে সাধারণ নাগরিকদের সিসিভেদে ৮৯ থেকে ৮৫০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হলেও সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানির সুযোগ পান। আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) চাপে এই সুবিধা তুলে দিচ্ছে সরকার।
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে।


বাজেট চূড়ান্ত করার আগে রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে বাজেট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। বৈঠকে এনবিআরের কর্মকর্তারা আসছে বাজেটে কী কী প্রস্তাব করা যেতে পারে, তার নানান দিক তুলে ধরেন। এরই অংশ হিসেবে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে সর্বোচ্চ ২৫% শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়। এ প্রস্তাব শুনে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সবুজ সংকেত দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।


এমপিরা সাধারণত উচ্চ সিসির বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করে থাকেন। এসব গাড়িতে শুল্কছাড়ের কারণে সরকার এত দিন কোনো রাজস্বই পায়নি। এনবিআর জানায়, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এমপিরা ৩১৬টি শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেন। এসব গাড়ির আমদানিমূল্য ২৬০ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ শুল্ক বিবেচনায় নিলে এসব গাড়ির পেছনে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা।


এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বেশ কয়েকটি সংসদ থেকেই এমপিদের শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির অবাধ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়। আইএমএফ চায় এ খাত থেকে অন্তত কিছু হলেও রাজস্ব আদায় হোক। তারই আলোকে আসছে বাজেটে এ রকম একটি প্রস্তাব থাকতে পারে।’