আজ বাইশে শ্রাবণ, রবী কবির প্রয়াণ দিবস
অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি।
আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১৩৪৮ সালের বাইশে শ্রাবণ (ইংরেজি ৭ আগস্ট-১৯৪১) কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা সালের পঁচিশে বৈশাখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মা সারদা সুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে বাস করতেন।
জীবনের শেষদিকে, আশি বছর পূর্ণতার দিনে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আজ পারের দিকে যাত্রা করেছি—পিছনের ঘাটে কী দেখে এলুম, কী রেখে এলুম, ইতিহাসের কী অকিঞ্চিৎকর উচ্ছিষ্ট সভ্যতাভিমানের পরিকীর্ণ ভগ্নস্তূপ!’
মৃত্যুর মাত্র সাত দিন আগে পর্যন্তও কবি সৃষ্টিশীল ছিলেন। জোড়াসাঁকোতে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে তিনি বলতেন, সেই শ্রুতিতে লিখিত হতো তার শেষ রচনাগুলো। কবির মহাপ্রয়াণের দিন কয়েক আগে চৌদ্দ শ্রাবণ এভাবেই লিখিত হয়েছিল তার শেষ কবিতাটি, ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি’।
শেষের দিকে ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই, শান্তিনিকেতনের আশ্রম বালক-বালিকাদের ভোরের সংগীত অর্ঘ্য তিনি গ্রহণ করেন তার উদয়ন গৃহের পূর্বের জানালার কাছে বসে। উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলেমেয়েরা গেয়ে ওঠেন কবিরই লেখা ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হলো আজ’।
রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্র জীবন কথা’য় কবির মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন, শান্তিনিকেতনে কবি এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেহ আর চলছিল না, চিকিৎসার ও সেবারও ত্রুটি নেই। অবশেষে ডাক্তাররা পরামর্শ করে ঠিক করলেন, অপারেশন ছাড়া উপায় নেই। ৯ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) শান্তিনিকেতন থেকে কবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলো। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অনেক বছরের স্মৃতিজড়িত কবি কী বুঝতে পেরেছিলেন এ তার শেষ যাত্রা? যাওয়ার সময় চোখে রুমাল দিচ্ছেন দেখা গেছে।
৩০ জুলাই জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কবির শরীরে অস্ত্রোপচার হলো। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করলে তা নিষ্ফল হলো। অবস্থা দ্রুত মন্দের দিকে যেতে লাগল। তিনি জ্ঞান হারালেন। শেষ নিঃশ্বাস পড়ল রাখী পূর্ণিমার দিন, বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা বেজে ১০ মিনিট। অমৃত আলোকের নতুন দেশে চলে গেলেন কবি।
একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ ও চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে শৈশবেই। মাত্র ৮ বছর বয়সে তার লেখালেখির হাতেখড়ি। ১৮৭৪ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে এই লেখালেখি চলে বিরামহীন।
১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বলা হয়ে থাকে, রবীন্দ্রনাথের লেখার প্রধান উপজীব্য ছিল জীবনানুভূতি, যেখানে বাঙালির জাতিসত্তা, আশা-আকঙ্ক্ষা-নিরাশার আবেদনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এটি এমন প্রবলভাবে এসেছে যে, তিনিই হয়ে উঠেছেন বাঙালির জাতিসত্তা ও বোধের এক অপার আধার।
- বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা
- হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ও আজকের পৃথিবী
- ঢামেকে ডেঙ্গুরোগীর চাপ থাকলেও নেই চিকিৎসা সংকট
- বয়স বেড়ে যাওয়ায় যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
- অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেই তরুণী, বিয়ের চাপ দেওয়ায় খুন করেন প্রেমিক
- কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা
- বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ত্রিপুরার সব হোটেল
- আজ ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, যে ৫ স্থানে দূষণ বেশি
- শীতের দাপটে কাঁপছে পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন
- আজ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস
- আসছে নতুন টাকা, যা থাকছে
- ১৯৭১ সালের আজকের দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল ঠাকুরগাঁও
- এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
- ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার
- রাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- পঞ্চগড় থেকে দেখে আসুন কাঞ্চনজঙ্ঘা
- এইচএসসির ফল দেখবেন যেভাবে
- সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা
- আলাদা জায়গা পেলেন না মতিয়া চৌধুরী, স্বামীর কবরেই দাফন
- নিরাপত্তা চেয়ে মোহাম্মদপুরবাসীর আল্টিমেটাম
- দীপাবলির আগেই সুখবর দিচ্ছেন রণবীর-আলিয়া
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি
- নতুন সরকার যদি আমাকে ডাকে, অবশ্যই সাড়া দেব: নুসরাত