আজ মাদার তেরেসার ১১৩তম জন্মবার্ষিকী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সেবায় সারাটা জীবন অতিবাহিত করেছিলেন আলবেনিয়া থেকে ভারতে আসা নারী মাদার তেরেসা। আজ তার ১১৩ তম জন্মবার্ষিকী। মানুষের মাঝে তিনি খুঁজে নিয়েছিলেন ঈশ্বরকে, তার কাছে ছিল না কোনো জাতি-ধর্মের ভেদাভেদ, মানবসেবাকেই ধর্ম হিসেবে নিয়েছিলেন। মাদার তেরেসার আসল নাম আগনেস গঞ্জা বয়াজু। মেসিডোনিয়ার স্কোপি শহরে ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট একটি ক্যাথলিক পরিবারে তার জন্ম।
১৯১৯ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সে তেরেসা বাবাকে হারান। আকস্মিক এ বিপর্যয়ের ফলে তার মা ভীষণ মুষড়ে পড়েন। জীবনের এ সংগ্রাম থেকে দারিদ্র্য আর প্রতিকূলতাকে সাহস ও উদ্দীপনার সঙ্গে গ্রহণ করার তৎপরতা আবিষ্কার করেন মাদার তেরেসা। মা তাকে রোমান ক্যাথলিক আদর্শে লালন-পালন করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন তেরেসা। ১৯২৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গৃহত্যাগ করে ‘সিস্টার্স অব লরেটো’ সংস্থায় যোগ দেন সিস্টার হিসেবে।
সেসময় সময়ে ভারতে বাংলায় ধর্মীয় কাজ করতেন। দুস্থ মানুষকে সাহায্য করার কাজটি যেন তার কাছে নেশার মতো হয়ে গেল। কলকাতার অলিগলি আর বস্তিতে ঘুরে বেড়াতে থাকেন, উদ্দেশ্য অসহায় মানুষদের সেবা করা। এরপর মাত্র ১২ সদস্য নিয়ে ১৯৫০ সালের ৭ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করেন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’। যার শাখা বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে। ১৯৪৮ সালের ২১ ডিসেম্বর তেরেসা ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
মাদার টেরিজার খ্যাতি যে শুধুমাত্র ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ছিল তা বলার বাহুল্য রাখে না। সেবা ধর্ম-কর্মের জন্য ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম মহিলা হিসাবে ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ পান ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেন। নোবেল ও ভারতরত্ন পুরস্কার ছাড়াও তিনি পেয়েছেন ১৯৬২ তে ‘পদ্মশ্রী পুরস্কার’, ১৯৭২ তে ‘নেহেরু পুরস্কার’, ১৯৭৮ তে পেয়েছিলেন ‘বালজান পুরস্কার’ ও ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে পেয়েছেন ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রীডম’। এছাড়াও বিশ্বভারতীর ‘দেশিকত্তম উপাধি’ এবং ভ্যাটিকান সিটির ২৩তম পোপ জন পুরস্কার পান।
আত্ম মানুষের নিঃস্বার্থ সেবা ও অক্লান্ত কর্মপ্রচেষ্টার পরও তার বার্ধক্য জীবন মোটেও সুখদায়ক ছিল না। ১৯৮৩ সালে পোপ জনপল ২ এর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে রোম সফরের সময় মাদার টেরিজার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। ১৯৮৯ সালে আবারও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার দেহে কৃত্রিম প্রেসমেকার স্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে মেক্সিকোতে থাকার সময় নিউমোনিয়া হওয়ায় হৃদরোগের আরও অবনতি ঘটে। এই পরিস্থিতিতে তিনি মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব করেন। ১৯৯৭ সালের ১৩ই মার্চ মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ থেকে সরে দাড়ান। ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
- বাংলাদেশে বর্ষাকালে যে সব ফুল ফােটে
- ছুটির দিনেও আশুলিয়ায় ১৪০০ কারখানায় চলছে কাজ
- রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
- সরকারি ৫ মেডিকেল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ
- আসছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল, থাকবে এক মাস
- মুরগি-ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার
- আমার ছড়ার জার্নি: ওরে আমার ছড়া রে
- ইরানে কারাবন্দি ৩৪ নারীর অনশন
- সরকারি ৬ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ
- আকস্মিক বন্যা-বৃষ্টিতে ক্ষতি যেসব জেলায়
- যাত্রী সংকটে ভারতগামী ফ্লাইট বন্ধ করল নভোএয়ার
- দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু
- চীনে ৭০ বছর পর শক্তিশালী টাইফুনের আঘাত
- এবার ভিসা জটিলতায় পরীমণি!
- রাজধানীতে তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে তরুণীর মৃত্যু!
- বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
- সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষে: আইনমন্ত্রী
- কোটা আন্দোলন:পরিবহন খাতে ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা!
- এই কাজ আমার জন্য চ্যালেঞ্জ নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- সিরাজগঞ্জে এমপির বাসায় আগুন, দুই মরদেহ উদ্ধার
- মাদার তেরেসার ১১৪তম জন্মদিন আজ
- কোটা আন্দোলন নিয়ে যা বললেন চঞ্চল-তিশা-ভাবনা
- অভিনয়শিল্পী-নির্মাতাদের সংহতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে
- আজ বাইশে শ্রাবণ, রবী কবির প্রয়াণ দিবস
- পর্যটক না আসায় হতাশ টাঙ্গুয়ার হাওরের শ্রমিকরা
- ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের দুই শিল্পীকে শোকজ
- নতুন মুখ নিয়ে দল গোছান, আওয়ামী লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রাজধানীসহ সারা দেশে দেড় হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাঙচুর
- শখের বশে সফল উদ্যোক্তা সুমনা