ঢাকা, শনিবার ২১, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
প্রস্তাবনা আসা মাত্রই সংস্কার হবে না: রিজওয়ানা হাসান কম শুল্কে আমদানি হলেও হিলি বন্দরে কমেনি পেঁয়াজের দাম ৩ পার্বত্য জেলায় চলছে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ পার্বত্য অঞ্চল পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১৪২৩, আহত ২২ হাজার রাঙ্গামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট জাতিসংঘে গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে বাড়ছে চাপ

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ৫ কাজ করা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

উচ্চ রক্তচাপকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নীরব ঘাতক হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এই রোগ নীরবে লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর জটিলতা ঘটতে পারে। প্রতি বছর আনুমানিক ৭.৫ মিলিয়ন মৃত্যু বা বিশ্বব্যাপী সমস্ত মৃত্যুর প্রায় ১২.৮% উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। এমনটাই জানা গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত একটি তথ্য অনুসারে। উচ্চ রক্তচাপের অনেক কারণ আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। জার্নাল অফ ফ্যামিলি মেডিসিন অ্যান্ড প্রাইমারি কেয়ারে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

উচ্চ রক্তচাপ কী?


উচ্চ রক্তচাপ একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা রক্তচাপের উচ্চ মাত্রা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। মায়ো ক্লিনিকের মতে, রক্তচাপ পারদের মিলিমিটারে (মিমি এইচজি) পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ হলো রক্তচাপ ১৩০/৮০ মিলিমিটার পারদ (মিমি Hg) বা তার বেশি। রক্তচাপ বোঝাতে দুটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। প্রথম সংখ্যা (সিস্টোলিক) হৃৎপিণ্ডের সংকোচন বা স্পন্দনের সময় তৈরি হওয়া রক্তনালীর চাপকে প্রতিনিধিত্ব করে। হৃদস্পন্দনের মধ্যে ধমনীতে চাপ দ্বিতীয় সংখ্যা (ডায়াস্টোলিক) দ্বারা দেখানো হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কোন ৫টি কাজ করবেন-

শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ান

অলস জীবনযাপন করা উচ্চ রক্তচাপের একটি প্রধান কারণ। অন্যদিকে নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে শারীরিক কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করুন। সাধারণ ব্যায়ামের মাধ্যমেও আপনার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারেন। তাই অলস সময় না কাটিয়ে কিছু না কিছু করুন। শুয়ে-বসে থাকলে আরামে সময় কাটবে ঠিকই, তবে তা আপনার উচ্চ রক্তচাপসহ আরও অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।


অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বাদ দিন

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অস্বাস্থ্যকর খাবার। অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণ এবং অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা, লবণ এবং চিনির পরিমাণ কমানো এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।


ধূমপান এবং তামাক বাদ দিন

উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ধূমপান এবং তামাক ব্যবহার পরিচিত কারণ। তামাকের ক্ষতিকর রাসায়নিক রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে দেয়, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ থেকে দূরে থাকার জন্য এগুলো থেকে দূরে থাকুন।

অ্যালকোহল বাদ দিন

অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অ্যালকোহল গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিমিত হওয়ার পরামর্শ দেন। সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হলো মদ্যপান না করা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে মদ্যপান থেকে দূরে সরে আসতে হবে, বিভিন্ন চিকিৎসা গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে এমনটাই।

স্ট্রেস দূরে রাখুন

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সতর্ক হতে হবে আপনাকেই। এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে মননশীলতার অনুশীলন করুন এবং প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা চান। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মতো সংস্থাগুলোর নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক লক্ষণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে বিরতিহীন মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া এবং মাথা ঘোরা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে উচ্চ রক্তচাপ বেশিরভাগ সময়ে উপসর্গবিহীন থেকে যায়, তাই নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিরোধ কৌশল

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করার জন্য, খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করার কথা বিবেচনা করুন। প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং পদক্ষেপের জন্য বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে নিয়মিত চেক-আপ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।