ঢাকা, শুক্রবার ০১, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২৮:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘আই ফেইলড অ্যাজ আ হিউম্যান’, চবি ছাত্রীর সুইসাইড নোট কমেছে সবজির দাম, চড়া আলু-পেঁয়াজ-চালের বাজার খাল নষ্টের অধিকার কারও নেই: রিজওয়ানা হাসান ট্রফি নিয়ে সুমাইয়াদের ঘুম ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৯৫, লেবাননে ৪৫ আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন সাংবাদিকসহ ১০ জনকে ধাক্কা দিয়ে পালাল প্রাইভেটকার!

উপস্থাপনায় ফিরলেন নাবিলা

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আয়নাবাজি চলচ্চিত্র দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। কিন্তু সেভাবে আর তাকে বড় পর্দায় দেখা যায়নি। এ বছরই প্রায় আট বছর পর চলচ্চিত্রে কামব্যাক করলেন ব্লকবাস্টার মুভি দিয়ে। তুফান চলচ্চিত্র দিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে থাকলেন আলোচনায়। তবে নাবিলার অন্যতম একটি জায়গা উপস্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে সেই জায়গাতেও নেই তিনি। তবে এবার ফিরলেন সেই প্রিয় জায়গায়, উপস্থাপনায়। এ বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী। বললেন, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের ব্যস্ততা মিলিয়ে উপস্থাপনাটা করা হচ্ছিল না। তবে এবার উপস্থাপনায় ফিরতে পেরে খুব খুশি। জানেনই তো, এই কাজটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।

এবারে নাবিলাকে দেখা যাবে ‘রাঁধুনী-র রান্নাঘর : বাংলার সেরা ১০০ রেসিপি’ অনুষ্ঠানে। যদিও রান্নার অনুষ্ঠানে খুব বেশি দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। তবে এটাকে চিহ্নিত করলেন অন্যভাবে। বললেন, উপস্থাপনায় ফেরাটাকে রিমার্কেবল করতে চেয়েছিলাম। তাই একটু অন্যরকমভাবেই ফিরলাম। আর এই সুযোগে আপনার মাধ্যমে দর্শকদেরও জানাতে চাই ‘এই নাবিলা কিন্তু আগের নাবিলা না, পুরোই ডিফরেন্ট!’ হাহাহা।

অনুষ্ঠানের ধরন সম্পর্কে নাবিলা বললেন, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রান্না নিয়ে ‘সেরা রাঁধুনী’-র প্রতিযোগীদের দেওয়া ১০০ রেসিপিতে একটি বই সাজানো হয়। সেই বইয়ের রেসিপিগুলোরই বলা যায় ডিজিটাল ভার্সন এই কুকিং শো। বইয়ের আমেজ আলাদা, তবে যুগের চাহিদার সঙ্গে মিলে ডিজিটাল ফরম্যাটেও রেসিপিগুলো রাখা জরুরি। যারা বইটিতে রেসিপি দিয়েছিলেন, মোটামুটিভাবে তারাই এই রেসিপিগুলো রান্না করে দেখিয়েছেন। আমাদের এখানে কিন্তু রেসিপি বুক-ভিত্তিক কুকিং শো তেমন একটা দেখা যায় না, বাইরের দেশে অহরহ হয়।

যারা রান্নার বিষয়ে আগ্রহী তারাও নাকি এই অনুষ্ঠানে উপকৃত হবেন। দেশে ও দেশের বাইরে যারা বাংলাদেশি রান্না এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্বাদের প্রতি আগ্রহী, তারা অনেক উপকৃত হবেন অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে। বাইরের দেশে বাংলাদেশি ক্যুইজিন ব্যাপারটা কিন্তু সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের রেসিপিগুলোর মধ্যে এখনো চলমান কিছু রেসিপি যেমন আছে, তেমনই এমন রেসিপিও আছে যেগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। পুরো বিশ্বে আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্বাদকে ছড়িয়ে দিতে কিছুটা হলেও আমাদের অনুষ্ঠানটি ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতে গিয়ে বাংলার খাবার নিয়ে আপনার ধারণায় এসেছে পরিবর্তন। এ বিষয়ে নাবিলার ভাষ্য, ১৭ জন প্রতিযোগীর কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু রেসিপি চাওয়া হয়। তাদের সঙ্গে গল্পচ্ছলে শুনেছি, সেই হতাশার সময়ে এই কাজটা তাদের আলাদা একটা মোটিভেশন দিয়েছে। আমি না তাদের কাজের মধ্যে, রেসিপিগুলোর মধ্যে সেই উদ্যমটা দেখেছি। বাংলাদেশের রান্না, বাংলার স্বাদ নিয়ে কাজ করতে তাদের এই স্পৃহা, তাদের সদিচ্ছা, ডেডিকেশন, যেটাই বলি... এগুলো আমাকে আমাদের রান্নার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলেছে।