ঋণ নিয়ে ক্ষীর বানিয়ে বিউটি আজ স্বাবলম্বী
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২২ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
২০০৬ সালে অষ্টম শ্রেণিতে থাকতেই বিয়ে হয় বিউটির। কম বয়সে বিয়ে হওয়ার পরও হাল ছাড়েননি তিনি। সিদ্ধান্ত নেন, ব্যবসা করবেন। প্রথমেই নেমে পড়েন স্বামীর ক্ষীরের ব্যবসায় সহযোগিতা করতে। পরে প্রতিবেশী নারীদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি সমিতি। ঋণ নিয়ে ক্ষীর বানিয়ে তিনি আজ সফল। মাসে আয় করছেন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
২০১২ সালে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন বিউটি। তারপর পরিধি বাড়ান ক্ষীর ব্যবসার। শুরুতেই ক্ষীর বানিয়ে দেখেন লাভের মুখ। একসময় ভালো আয় হতে থাকে। এতে ফেরে সংসারের সচ্ছলতা।
ক্ষীরের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বিউটি কুড়িয়েছেন সুনাম ও পুরস্কার। উপজেলার সেরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক। পেয়েছেন মহিলা অধিদপ্তর থেকে জয়িতা পুরস্কার।
বিউটির তৈরি করা ক্ষীর বাজারজাতের জন্য মাটির সানকিতে রাখছেন। আবার পাঠিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় বাজারে তাদের ‘আনন্দ দধি-ক্ষীর হাউস’ দোকানে। প্রবাসেও যায় তার বানানো ক্ষীর। দূরদূরান্তের মানুষ তার ক্ষীর কিনে নিয়ে পাঠিয়ে দেন প্রবাসে থাকা স্বজনদের কাছে।
তিনি জানান, তার পৈতৃক বাড়ি জেলা শহরের পুরানবাজার এলাকায়। ছোটবেলা থেকে অসচ্ছল পরিবারে বেড়ে ওঠেন। ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। তার শৈশব কেটেছে অভাবে। ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। কিন্তু আর্থিক সমস্যায় অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়তে পারেননি। কিন্তু বিয়ের পর তিনি নিজেকে শেষ হতে দেননি। সব সময় তার মনে উদ্যোক্তা হওয়ার বাসনা ছিল।
বিউটি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কেজি ক্ষীর বানিয়ে বিক্রি করেন। মাসে গড় বিক্রি তিন লক্ষাধিক টাকা। লাভ থাকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ক্ষীর বানাতে ৩৫০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি করেন ৪০০ টাকায়। ক্ষীরের ব্যবসা করে সাত শতক জমি কিনেছেন। সেখানে বাড়ি করবেন। সন্তানকে বানাবেন উচ্চশিক্ষিত।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুগ্ধজাত মিষ্টান্ন ক্ষীরের ইতিহাস শত বছরের। এখানকার ক্ষীর গুণেমানে সেরা এবং এর সুনাম ও ঐতিহ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আছে। মতলবের ক্ষীর চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকেও প্রবাসীরাও লোক মারফত ক্ষীরের ফরমাশ (অর্ডার) পাঠান এ উপজেলায়।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, ঋণ নিয়ে বিউটি যেভাবে ক্ষীরের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন, তা একজন নারীর সক্ষমতা প্রমাণ হয়। এ জণ্য তিনি পেয়েছেন জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক। আজ বিউটির দেখাদেখি স্বনির্ভর হয়েছেন বেকার অনেক নারী।
- সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
- ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল
- ৫৭ বয়সেও মাধুরী দীক্ষিত যেন পঁচিশের তরুণী!
- জেনে নিন ভাপা পিঠার সহজ রেসিপি
- প্রথমবার দুঃসাহসিক অভিযানে ইহুদি মেয়েরা
- রোববার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি
- রাজাপুরের বধ্যভূমি আজো অরক্ষিত
- বিশ্বের সবচেয়ে খাটো দম্পতির গিনেস রেকর্ড
- সাগরে আরেকটি লঘুচাপ, যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- সম্পদের হিসাব জমা না দিলে শাস্তি হতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের
- ‘নারীরা লড়াই করেছেন সমানতালে, এখন কেন আড়ালে’
- ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- সড়ক দুর্ঘটনায় পরীমণির প্রথম স্বামী নিহত
- এক ইলিশের দাম ৬ হাজার টাকা!
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- স্নাতক পাসে চাকরি দেবে আড়ং
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- পঞ্চগড় থেকে দেখে আসুন কাঞ্চনজঙ্ঘা