একটি ভেড়া বদলে দিয়েছে রেহেনার ভাগ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত
সততা, আত্মবিশ্বাস ও শ্রম দিয়ে একজন মানুষ তার জীবনের চিত্র বদলাতে পারে। তারই যেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের রেহেনা বেগম। ভেড়া পালন করে বদলেছেন ভাগ্য। তিনি এখন এ গ্রামের উদাহরণ।
পৃথক সংসার শুরু করার সময় শাশুড়ির কাছ থেকে পেয়েছিলেন মাত্র একটি ভেড়া। সেই একটি ভেড়া থেকে তার খামারে হয় দুই শতাধিক ভেড়া। তবে গত কোরবানির ঈদে তিনি শতাধিক ভেড়া বিক্রি করেছেন।
রেহেনা বলেন, বাবা-মায়ের সংসারে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারিনি। এমনকি দুবেলা ঠিক মতো খাবারও থেকে পারতাম না। অল্প বয়সে একই উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। তখন আমার স্বামী ভ্যান চালাতো। ৫ শতকের ওপর পুরানো ভাঙা একটা বাড়ি ছিলো শ্বশুরের। সেখানেই সবাই থাকতাম। স্বামীর ভ্যান চালানো টাকা দিয়ে খুব কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলতো। ভাতের মাড়, খুদের ভাত খেয়েও দিন পার করেছি। পরে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেছি। এর মাঝে রাশেদ ও আশিক নামে দুই ছেলে আসে আমারে ঘরে। তখন আরও খরচ বেড়ে যায়। পরে সংসার আলাদা হওয়ার সময় শাশুড়ি আমাকে একটা ভেড়া দেন। সেটা প্রথমবারে ২টি বাচ্চা জন্ম দেয়। এরপর বাড়তে থাকে। প্রথম কয়েক বছর ভেড়া বিক্রি করিনি। এরপর প্রতি বছরই ভেড়া বাড়তে থাকে। সেই থেকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি।
ভেড়া বিক্রি করে রেহেনা তার বড় ছেলে রাশেদ হোসেনকে একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে আশিককে স্থানীয় হাকিমপুর কৈজড়ি বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করাচ্ছেন। এছাড়া, তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে আরও ৫ শতক জায়গা, দেড় লাখ হাজার টাকা দিয়ে ২টি গাভি ক্রয় করেছেন। এখন তার খামারে ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০টি ভেড়া আছে।
রেহেনার স্বামী আব্দুর রহিম জানান, এক সময় টাকা পয়সার অভাবে তিনি সংসার চালাতে পারতেন না। অভাব অনটন ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। তিনি সব সময় হতাশায় ভুগতেন। কিন্তু তার স্ত্রীর জন্য সংসারে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগামীতে তিনি ছেলেদের নিয়ে গরুর খামার করবেন বলে জানান।
রেহেনার ছেলে আশিক বলেন, বড় ভাই ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করছে, আর আমি স্কুলে আছি। স্কুলে যাওয়ার আগে এবং স্কুল থেকে এসে আমি ভেড়াগুলোকে ঘাস খাওয়াতে মাঠে নিয়ে আসি। অন্য সময় ভেড়াগুলোর পরিচর্যা করেন আমার মা।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিয়ায কাজমীর বলেন, রেহেনা বেগম ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হয়ে এ উপজেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি তাকে সরকারিভাবে ভেড়া পালনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। যাতে ভেড়া পালন তার জন্য সহজ হয়। তাকে দেখে অন্যরাও ভেড়া পালন করবেন বলে আশা করছি।
- হঠাৎ নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান!
- হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ব্যাচেলর পয়েন্টে যে চরিত্রে দেখা দিলেন স্পর্শিয়া
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে প্রকাশ্য হুমকি
- লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- ফের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে গ্রেফতার করল ইরান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- ত্বকে বয়সের ছাপ? দূর করবে এই ৪ পানীয়
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
- আপেল নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি: মেডিকেল বোর্ড
- পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
- ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
- তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- ৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
- গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান
- সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

