ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা

এরশাদের চেয়ে রওশনের নগদ টাকা বেশি!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫২ এএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেয়ে তার স্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের ৯২ গুণ নগদ টাকা বেশি! একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী হতে গত বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। 

 

এরশাদ তার হলফনামায় অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, নগদ ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। অবশ্য তার স্ত্রী রওশন এরশাদের হাতে নগদ দেখিয়েছেন ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ টাকা, যা এরশাদের হাতে থাকা নগদ টাকার প্রায় ৯২ গুণ!


নির্বাচন কমিশনে দেওয়া এরশাদের হলফনামায় আয়ের উৎস বিবরণী থেকে জানা যায়, কৃষি খাত, বাড়ি-এপার্টমেন্ট-
দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত বাবদ এরশাদের কোনো আয় নেই।


ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যানের ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার মার্কেটে দেশের এই শীর্ষ রাজনীতিকের ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা রয়েছে। ২০১৩ সালের হলফনামায় দেখা যায় ব্যবসা বাবদ এরশাদের আয় ছিল ৬২ হাজার ৯৫০ টাকা। তবে এ বছর নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় ব্যবসা বাবদ আয় উল্লেখ করা হয় ২০ লাখ ৬৫০০ টাকা।


তবে তিনি রাষ্ট্রীয় বিশেষ দূত হিসেবে বাৎসরিক সম্মানী পান ১৯ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে জাপা চেয়ারম্যানের বাৎসরিক সম্মানী ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানী হিসেবে পান ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা।


এরশাদের হলফনামায় দেখা গেছে, জাপা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৬টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৫টি মামলাই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে। এসব মামলার দুটি বর্তমানে বিচারাধীন, বাকি ৪টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।


এ ছাড়া এরশাদের বিরুদ্ধে অতীতে আরও ২৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ১৩টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন, ৬টিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, ৪টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তিনটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ও একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্ত্রীর নামে ১০০ ভরি স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর অলঙ্কার রয়েছে। এরশাদের ব্যবসায় মূলধন রয়েছে ১২ লাখ ৫১ হাজার একশত ৫৪ টাকা। জমি বিক্রয় মূল্য রয়েছে ২৫ কোটি ৪০ হাজার টাকা। নিজ নামে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকার এফডিআর ও ৯ লাখ টাকার ডিপিএস রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এছাড়াও স্ত্রীর নামে সেভিং ৬০ লাখ, সেভিং স্কিম ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৭ টাকা ও বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ রয়েছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরশাদের নিজের নামে ২টি ল্যান্ড ক্লোজার জিপ, একটি নিশান কার রয়েছে। আর স্ত্রীর নামেও বিভিন্ন ব্রান্ডের তিনটি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা।


নিজের নামে ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র আছে। আর স্ত্রীর নামে ১৫লাখ টাকা। নিজ নামে ব্যবসায় মূলধন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা ও জমি বিক্রয় ২ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার দেখিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।


স্থাবর সম্পদের মধ্যে দেখানো হয়েছে-নিজের নামের কৃষি জমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রংপুর ৩৩ লাখ টাকার ৫০ শতাংশ এবং ঢাকার পূর্বাচলে ১৮ লাখ টাকার সাড়ে ৭ কাঠা জমি আছে।


বনানীতে নিজের নামে শপিং কমপ্লেক্স ৭৭ লাখ টাকার আছে। বারিধারায় ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, বনানীতে ৪৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশানে ৬২ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে। আর স্ত্রীর নামে গুলশানে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ও ফ্ল্যাট গুলশান মডেল টাউনে ৫ কোটি ৫০ লাখ জমি দেখানো হয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ঋণ আছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকা।