ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৯:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় নারীসহ ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম গ্রীসে অভিবাসীদের নৌকাডুবি: ৬ শিশুর মরদেহ উদ্ধার ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানাল সৌদি আরব পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে

কবিতা উৎসব চলছে : আজ সমাপনী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৩:৫৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার

‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ স্লোগানে দ্বিতীয় দিনের মত জাতীয় কবিতা উৎসব চলছে। আজ শুক্রবার সমাপনী দিন।

 

১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উৎসব উদ্বোধন করবেন বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী। এ বছরের উৎসব সঙ্গীত রচনা করেছেন কবি মহাদেব সাহা। উৎসব আঙিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার প্রাঙ্গণের হাকিম চত্বর। এবারের উৎসবে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন ৯ দেশের ১৭ জন কবি। স্বাগতিক বাংলাদেশের পক্ষে সারা দেশ থেকে অংশ নেবেন ৩০০ জন নবীন-প্রবীণ ও প্রখ্যাত কবি।

 

উৎসব আয়োজক জাতীয় কবিতা পরিষদ। পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কবি আসাদ চৌধুরী, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কাজী রোজী, উৎসব আহ্বায়ক রবিউল হুসাইন, সুইডেনের কবি ক্রিশ্চিয়ান কার্লসন প্রমুখ।

 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসানের সমাধিসৌধ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব আনুষ্ঠানিকতা। এরপর উৎসব আঙিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরের উৎসব মঞ্চ থেকে পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। সেই সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। গাওয়া হয় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি শীর্ষক একুশের গান ও উৎসব সঙ্গী।

 

এবারের উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ। গত বছরের প্রয়াত কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আমিনুর রহমান সুলতান। সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য দেন তারিক সুজাত।

 

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে অনুষ্ঠিত হয় ‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ বিষয়ক মুক্ত আলোচনা। ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ আলোচনায় অংশ নেন উৎসবে যোগদানকারী আমন্ত্রিত কবিরা। দেশের বাইরে থেকে উৎসবে অংশ নেওয়া নয় দেশের কবিদের তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে।

 

৩২তম উৎসবে অংশগ্রহণকারী ভিন দেশি কবিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডেনের আরনে জনসন, ক্রিস্টিয়ান কার্লসন ও ভিভেকা জোরেন, যুক্তরাজ্যের এগনেস মেডাওস, ক্যামেরুনের জয়সে আওসাতাতাং, মিশরের ইব্রাহীম এলমাসরি, মেক্সিকোর ইউরি জামব্রানো, জাপানের টেন্ডু তেইজিন, তাইওয়ানের মিয়াও-ওয়াইতুম এবং কলম্বিয়ার মারিও মাথর। অংশ নেবেন ভারতের বিভিন্ন ভাষার কবিরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন কবি আশিস সান্যাল, সুবোধ সরকার, রাতুল দেববর্মণ, দিলীপ দাশ, সংঘ মিত্রা চক্রবর্তী, প্রদীপ কর, অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র মিত্র। স্বদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ৩০০ কবি এবারের উৎসবে কবিতাপাঠ করছেন। কবিতা পাঠ ছাড়াও কবিতা নিয়ে বিভিন্ন সেশনেও অংশ নিচ্ছেন তারা।

 

মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘দেশহারা মানুষের মর্মবেদনাকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত হবে এবারের কবিতা উৎসব। সারা দেশের ৩০০ কবির সঙ্গে উৎসবে অংশ নেবেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনেসর প্রতিনিধিরা। বাংলা ভাষার সাহিত্যচর্চার অনন্য আয়োজন এই কবিতা উৎসব। আর এ উৎসবটি শুধু কবিদের জন্য নয়। কবি ও তার জনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত এ উৎসব। মানুষের কথা বলাই এ উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।