করোনা-আতঙ্কে ভুগছেন? মন শান্ত রাখুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২০ বুধবার
করোনা-আতঙ্কে ভুগছেন? মন শান্ত রাখুন
করোনা অতিমারির হাত ধরে যে হারে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, একাকীত্ব, অবসাদের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে রীতিমতো শঙ্কিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। গৃহবন্দি অবস্থায় আতঙ্কের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মনের সব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে গেলে, বিশেষ করে যারা এমনিই উদ্বেগপ্রবণ বা অন্য মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, কী হবে তাদের অবস্থা! এত মনোরোগীর চাপ সামলানো যাবে!
একই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা। ইমারজিং ইনফেকসাশ ডিজিজ নামের জার্নালে তারা জানিয়েছেন, যদিও ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনের জোরে এই বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন, বাকিরা পারছেন না একেবারেই। অবিলম্বে এ দিকে নজর না দিলে উদ্বেগে জেরবার, অবসন্ন, হতাশ মানুষ যে কী থেকে কী করে বসবেন, তার কোনও ঠিকঠিকানা নেই।
আমাদের দেশের অবস্থাও জটিল। ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির এক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, করোনা আসার পর দেশে মনোরোগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি পাঁচ জন ভারতীয়ের মধ্যে একজন ভুগছেন মানসিক সমস্যায়।
কেন এমন : “এ রকমই তো হওয়ার কথা! রাতারাতি জীবন পাল্টে যাচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে সম্পর্কের মানে। রোগ হলে কী হবে কেউ জানে না।ভবিষ্যতে কী হবে কেউ জানে না। প্রাণের ভয় ও আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে অসহায় হয়ে পড়ছেন মানুষ। যেন এক অন্ধগলিতে ঢুকে পড়েছেন সবাই, যা থেকে বেরনোর রাস্তা জানেন না কেউ। এ রকম দমবন্ধ অবস্থায় দুর্বল মনের মানুষ তো ভেঙে পড়বেনই,” জানালেন মনোচিকিৎসক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাইরাস রইল ভাইরাসের মতো। মতিগতি কিছু বোঝা গেল না তার। আর আক্রান্ত ও মৃতের ক্রমবর্ধমান গ্রাফ দেখে হতাশা গ্রাস করল আমাদের। গ্রাস করল অবসাদ।
এবার তা হলে কী? অবসাদ কমানোর ওষুধ না অন্য কিছু। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমাধান : ভাল করে বুঝুন, একটা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই চলেছি। কী তার পরিণতি কেউই জানি না। কাজেই অহেতুক ভেবে মাথা খারাপ করে কোনও লাভ নেই। বেশি ভাবলে মানসিক অশান্তি হবে। তার ছায়া পড়বে পরিবারে। এখন একজোট হয়ে থাকার সময়, সবাইকে অশান্ত করে তোলা কোনও কাজের কথা নয়। অসুখবিসুখের প্রকোপও বাড়বে তাতে। এমনকি, যাকে ভেবে চিন্তায় ঘুম নেই, তার আশঙ্কাও বাড়তে পারে। কারণ এটা পরীক্ষিত সত্য যে মানসিক চাপ বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত খবরে বেশি জড়িয়ে পড়েছেন বলেই যত অশান্তি। কাজেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট না দেখে ঠিক করে নিন, দিনে এক ঘণ্টার বেশি খবর দেখবেন না। আগে যে ভাবে কাজকর্ম করে, বই পড়ে, কি সিনেমা-সিরিয়াল দেখে কি আড্ডা মেরে সময় কাটাতেন, এখনও সে ভাবে কাটানোর চেষ্টা করুন।
বাড়িতে সময় দিন শিশুদের : অনেক বেশি সময় হাতে? কী ভাবে কাটাবেন বুঝতে পারছেন না? হিসেব করে দেখুন, ক’ঘণ্টা বেশি সময় পাচ্ছেন। এই সময়টা কী ভাবে ভরাট করা যায় দেখুন। একটু হয়তো ব্যায়াম করলেন, ঘরের কাজ করলেন, বইপত্র পড়লেন কি সেরে নিলেন কোনও পুরনো বকেয়া কাজ। নতুন হবি তৈরি করার বা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এটাই আদর্শ সময়। আদর্শ সময় সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেওয়ার। পুরনো সম্পর্কগুলো ঝালিয়ে নিন। যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল একটু উদ্যোগী হয়ে তাকে ভাল করা যায় কি না দেখুন। ভালগুলোকে করে তুলুন আরও ভাল। সময় কেটে যাবে।
ভবিষ্যৎ ভেবে আতঙ্ক হচ্ছে? লাভ নেই। সারা পৃথিবীর ভবিষ্যৎই এখন অনিশ্চিত। যতই ভাবুন কূলকিনারা পাবেন না। কাজেই আজকের দিনটা কতটা সুন্দর, কতটা কার্যকর করে তোলা যায়, ভাবুন তা নিয়ে। কালকের কথা কাল ভাববেন।
এ ভাবে ভাবা সম্ভব কিনা? অসুবিধে কী? মন যেই ভবিষ্যতে বা অতীতে ছুটতে চাইবে, তাকে এই মুহূর্তে টেনে আনতে হবে। সেটা সম্ভব হবে তখন, যখন জীবনের ভাল দিকগুলি দেখার চোখ ও মন তৈরি করতে পারবেন। চাহিদা কমাতে পারবেন। ভেবে দেখুন, আকাশচুম্বী চাহিদা তো এক মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে গেল। এখন কী হবে না হবে সেই নিয়ন্ত্রণও প্রকৃতিরই হাতে। আসল কথা হল, এই মুহূর্তটুকু ছাড়া আর কিছুই আমাদের হাতে নেই। কাজেই যা হাতে আছে, তাকে সুন্দর করে গড়ে নিন। যা নেই তার জন্য হাহুতাশ করলে, আজও যাবে, কালও যাবে।
অযথা টেনশনে ভোগার আগে ভেবে দেখুন, পৃথিবীতে এ রকম অতিমারি আগেও এসেছে। মানুষ তা অতিক্রমও করেছে। এই মহামারিও সে ভাবে অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। এখন বরং চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক বেশি উন্নত। জীবাণুটিও যতটা ছোঁয়াচে, ততটা মারক নয়। কাজেই এই হঠাৎ পাওয়া ছুটিটাকে অবহেলায় বয়ে যেতে দেবেন না। ভাল করে উপভোগ করুন।
সব কিছু করেও যদি মনে হয় সামলাতে পারছেন না, কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হোন। তাঁরা আপনার ভাবনাচিন্তার জগতে পরিবর্তন আনতে পারবেন। যার সাহায্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনি নিজেই নতুন করে বাঁচতে শিখে যাবেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ওষুধ দিতে হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
- পলিথিন বন্ধে সরকারের তোড়জোড়, তবু বন্ধ হয়নি ব্যবহার
- বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
- আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
- ঝিনাইদহে শীতে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
- প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন: ড. ইউনূস
- শান্তিপুর অরণ্য কুটির বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম তীর্থস্থান
- লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় শীত বাড়ছে
- বাহাত্তরেও সুরের জাদু ছড়াচ্ছেন রুনা লায়লা
- সড়ক আটকে রেসিডেন্সিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধ
- ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
- আশা জাগিয়েছে ব্রি ধান-১০৩
- শাকিবের দরদ সিনেমা নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- তাপমাত্রা ও কুয়াশা নিয়ে আবহাওয়ার নতুন বার্তা
- লাফিয়ে বাড়া স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন, জানা গেল কারণ
- মঙ্গলবার থেকে খুলছে ঢাকা সিটি কলেজ
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- অফিসে ‘গোপন কক্ষ’ নিয়ে মুখ খুললেন মালা খান
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- হারিয়ে যাচ্ছে কদম ফুল
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- নারী বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- উর্দু সার্ভিস চালু করতে বাংলাদেশ বেতারে সভা