কর্মজীবী নারীর ‘ঝরে পড়া’ ঠেকানো দরকার
সজীব সরকার | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১০:৩০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
নারীর অধিকার অর্জনে তাদের শিক্ষিত করে তোলা খুব জরুরি। এর পাশাপাশি নারী যেন কর্মজীবনে প্রবেশের জন্যে দরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে, সেটিও নিশ্চিত করা চাই। তবে কর্মক্ষেত্রে সহজ প্রবেশই শেষ কথা নয়; নারীদের যেন অকারণ কর্মজীবন ত্যাগ করতে না হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা বা সাক্ষরতার হার বাড়ছে। কর্মজীবী নারীর সংখ্যাও আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে, তাদের অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে - এ কথা প্রমাণের জন্যে এই পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়। তবে, প্রতিবছর কতোজন নারী কর্মস্থল থেকে 'ঝরে' পড়ছেন, সেই পরিসংখ্যানও বিবেচনায় নিতে হবে।
আমরা দেখি, কর্মস্থলে নারীর জন্যে শতভাগ নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়নি। কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্যে গণপরিবহনে নারীরা নিরাপদ নন। সংসারের সব দায়িত্ব সামলে নারীরা কর্মস্থলে যথেষ্ট সততা আর দক্ষতার সাথে কাজ করলেও অনেক সময় পুরুষ 'বস' বা সহকর্মীর কাছে বৈষম্যের শিকার হতে হয়- কেবল নারী বলে তারা ভালো পদ বা বেতন কিংবা পদোন্নতি পান না। বাংলাদেশে এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেই; এমনকি অবৈতনিকভাবেও এ ছুটি চাওয়া হলে সরাসরিই তাদের চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয় বা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
আরকেটি বিষয় হলো, বিশেষ করে শহরগুলোতে এখন পরিবারগুলো মূলত একক বা ক্ষুদ্র (নিউক্লিয়ার) যেখানে দম্পতিরা তাদের সন্তানসহ বসবাস করেন। এসব পরিবারে সন্তানের দেখভালের জন্যে কেউ থাকে না। ফলে একসময়ের কর্মজীবী নারীটিই সন্তানের জন্ম দেয়ার পর চিরাচরিত নিয়মে 'বেকার' হয়ে পড়েন। কর্মস্থলে শিশুদের পরিচর্যা কেন্দ্র থাকলে অনেকের জীবনেই এমনটি ঘটত না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এখনো এই ব্যবস্থা নেই; সরকারি উদ্যোগে কিছু শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র বা এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তবে সরকারের একার পক্ষে মোট চাহিদার সমপরিমাণ ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই জরুরি ভিত্তিতে সরকারি আদেশে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক করা দরকার।
সর্বোপরি, পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রকে নারীবান্ধব হয়ে উঠতে হবে; নারীদের শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন পর্যন্ত যদি যথেষ্ট সহযোগিতার মনোভাব তৈরি না হয়, তাহলে কেবল শিক্ষিত করে তুললেই নারীর অধিকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে না, সমতাপূর্ণ সমাজের সুফল পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যাবে না। এজন্যে সব ক্ষেত্রে নারীকে প্রয়োজনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অনেকে সমালোচনা করে বলেন, নারীকে বাড়তি সুবিধা দেয়াও পুরুষের প্রতি এক ধরনের বৈষ্যম্য। কথাটি মিথ্যে নয়, তবে হাজারো বছরের বৈষম্যের শিকার হয়ে পিছিয়ে পড়া নারীকে এগিয়ে নিতে হলে এই বৈষম্য কিছুটা দরকার। অ্যাকাডেমিক পরিভাষায় এই বৈষম্য ইতিবাচক (পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন); এইটুকু বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব নারীর প্রতি না থাকলে আগে থেকে পিছিয়ে রাখা নারীদের পক্ষে পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাওয়া কোনোকালেই সম্ভব নয়।
লেখক : সজীব সরকার : সহকারি অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি। ই-মেইল : [email protected]
- হঠাৎ নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান!
- হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ব্যাচেলর পয়েন্টে যে চরিত্রে দেখা দিলেন স্পর্শিয়া
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে প্রকাশ্য হুমকি
- লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- ফের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে গ্রেফতার করল ইরান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- ত্বকে বয়সের ছাপ? দূর করবে এই ৪ পানীয়
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
- আপেল নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি: মেডিকেল বোর্ড
- পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
- ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
- তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- ৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
- গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান
- সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

