ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪৮:২৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

কারাগারে খালেদা জিয়ার এক বছর আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি পথে এগোলেও গত এক বছরে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তার দল। এ ছাড়া তারা রাজপথেও জোরদার আন্দোলনে নামতে পারছে না।

এর মধ্যে খালেদা জিয়াকে ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির ভরাডুবি হয়ছে। এর পর থেকে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক এমনকি সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন বিএনপি তাহলে কী করবে। কারাগারে থেকেই খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব দেবেন না কি তাঁর মুক্তির জন্য বিএনপি কঠোর আন্দোলনে যাবে। 

দলের মধ্যে এমন আলোচনাও আছে সরকার না চাইলে খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বিএনপি কি খালেদা জিয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করবে। আর সেটা চাইলে কী দিয়ে হবে সেই সমঝোতা?

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে চলতে থাকা বহুল আলোচিত জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনের। সেদিন থেকেই রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কারাগারে বন্দি তিনি। এক বছরে তার মুক্তির বিষয়ে কতটুকু এগিয়েছেন আইনজীবীরা?

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, সরকার বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণেই তার কারাবাস দীর্ঘায়িত হচ্ছে। 

এদিকে  এ অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় খালেদা জিয়ার এই পরিণতি।

বিএনপি’র আইনজীবীরা শুরু থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত করার জন্য সরকারকে দুষছেন। তাদের দাবি, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেছে সরকার। যদিও সরকার সমর্থিত আইনজীবীরা এ অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলছেন, যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় খালেদা জিয়ার এই পরিণতি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এবং রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে সরিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে এই মামলাগুলো তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, সঠিক বিচার হলে এই দীর্ঘ সময় যাবত তার কারাগারে থাকার কোনো প্রশ্নই আসত না। তাই আমরা দেখতে পাই, আসলে আদালতের রায়ে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, বিএনপি’র আইনজীবীদের অভিযোগ একেবারেই অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। দীর্ঘসময় বিচার বিশ্লেষণের পরই আদালত রায় দিয়েছেন। তাদের আইনজীবীরা বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে এত সময় লাগার কথা না।

মামলা পরিচালনার বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। যদিও এ অভিযোগ মানতে নারাজ তারা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন বলেন, আমরা তো জেলের তালা ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্ধার করতে পারবো না। এতে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। রাজনৈতিক মামলাগুলোতে সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ বের হতে পারেননি।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই মামলার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দুদকের করা। কাজেই এই ধরণের মন্তব্য হাস্যকর। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে। মুক্তির জন্য এ মুহূর্তে শুধুমাত্র চারটি মামলায় তার জামিন পেতে হবে।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এ ছাড়া শনিবারও ঢাকা মহানগরী বাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তারা।