ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৮:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে টাইগ্রেসরা পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে, শীতে কাঁপছে পঞ্চগড় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪ তেল-আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই, মাছের বাজার চড়া

খাবারের অভাবে সুদানের এতিমখানায় ৬০ শিশুর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪৩ পিএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

চলমান সংঘাতের কারণে সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি এতিমখানায় আটকে পড়া বিভিন্ন বয়সের ৬০ জন শিশু মারা গেছে। গত ছয় সপ্তাহ ধরে তারা সেখানে আটকে ছিল। 
শিশুদের বেশিরভাগই খাবারের অভাব ও জ্বরে ভুগে মারা গেছে। তাদের মধ্যে শুধু দুইদিনেই প্রাণ হারায় ২৬ জন।

খার্তুমের আল-মায়কোমা এতিমখানার এক ডজনেরও বেশি চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মীরা শিশুদের দুর্ভোগের এই তথ্য জানান। কয়েক ডজন নথি, ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে এতিমখানার শোচনীয় পরিস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদসংস্থা।
কর্মীদের তোলা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাদা চাদরে বাঁধা শিশুদের মৃতদেহ দাফনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। অন্য ফুটেজে দেখা যায়, শুধু ন্যাপি পরা দুই ডজন শিশু একটি ঘরের মেঝেতে বসে আছে। তাদের অনেকেই কাঁদছে। নারী কর্মীরা তাদের কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন।
এক কর্মী জানান, গত সপ্তাহে কাছাকাছি গোলাবর্ষণে এতিমখানার বড় একটি অংশ ধুলোয় ঢেকে যায়। পরে বাচ্চাদের সরিয়ে বড় একটি ঘরে রাখা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক আফকার ওমর মোস্তফা টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন কিছু আমরা যুদ্ধের প্রথম দিন থেকে আশঙ্কা করছিলাম।
গত ২৭ মে ১৪ শিশু ও পরদিন আরও ১২ জন শিশু মারা যায়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।

এরপর গত ২৯ মে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা, ইউনিসেফ ও রেড ক্রস ওই এতিমখানায় খাদ্য ও ওষুধসহ জিনিসপত্র সরবরাহ করেছে।
এতিমখানার কর্মীরা সতর্ক করে জানান, আরও শিশু মারা যেতে পারে। শিশুদের যেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত খার্তুম থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।
 
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক উপদলের মধ্যে লড়াই চলছে, যা খার্তুম ও অন্যান্য শহরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে।