ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৫:৪৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আয়ারল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস ভারতীয় আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বাড়ছে দাম ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে যে তথ্য জানা গেল টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা

খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ৩০ মে ২০২১ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পর আবার জ্বরে আক্রান্ত হলেও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন শারীরিকভাবে ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আপনাদের বলেছিলাম বেগম খালেদা জিয়া ফের জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। আমি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তারা খুব আন্তরিকভাবে ম্যাডামের চিকিৎসা করছেন। তাদের আন্তরিক চিকিৎসার কারণে ম্যাডামের জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ডাক্তাররা আশাবাদী যে হয়তো তার আর জ্বর আসবে না।

রবিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শনিবার ম্যাডামের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ডাক্তাররা। আমার খুব দুঃখ যে, একমাত্র প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে তার সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। করোনার উপসর্গ খুব একটা না থাকায় তাকে নন-করোনা কেবিনে রাখা হয়েছিল।

এক সপ্তাহ পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ৩ মে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এখনো সেখানেই চিকিৎসা চলছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।

বিএনপির পাশাপাশি গোটা দেশ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু বিএনপি নয়, একটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বাংলাদেশ। আজকে সমস্ত জাতি এই সরকারের ভুক্তভোগী। আমাদের যে গণতন্ত্র ছিল, সেটা ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের যে মুক্ত সমাজব্যবস্থা আছে, সেটা হরণ করা হয়েছে। মুক্ত সাংবাদিকতাকে হরণ করা হয়েছে। নির্যাতন এবং নিবর্তনমূলক শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই জাতি যুদ্ধ করেছিল একটি উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং সমাজব্যবস্থার জন্য। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি একনায়কতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করেছে। আওয়ামী লীগই আজকে দেশে সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদের জন্ম দিয়েছে।

ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ দেশের জন্য কখনোই শুভ কাজ করেনি। শুধু দেশের ধ্বংস করেছে। আজকের এই শাহাদতবার্ষিকী নিয়ে গোটা জাতির কাছে আমাদের আহ্বান, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে একটি মুক্ত সমাজের জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম। আবারও এই দেশকে মুক্ত করতে হলে আরেকটি লড়াই করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

-জেডসি