ঢাকা, বুধবার ১২, মার্চ ২০২৫ ১৫:৪২:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মাগুরার শিশুটির অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না দেশজুড়ে ধর্মঘট চিকিৎসকদের, বন্ধ আউটডোর-ইনডোর সেবা সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়েছে অধিকাংশ ঘর গাজীপুরে ট্রাক চাপায় নারী শ্রমিক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ আলুর বাম্পার ফলন, তবু কৃষকের মাথায় হাত রাজধানীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ জনের যাবজ্জীবন

খুঁজে পাওয়া গেল শিশুদের বন্ধু সান্তা ক্লজের বাড়ি!

কিশোর লেখা ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৫১ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

২৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হলো ’বড় দিন’ বা ক্রিসমাস। যিশুর জন্মদিন। ২৫ ডিসেম্বরের একটি মাহাত্ম্য রয়েছে, মূলত শিশুদের কাছে। তারা মনে করে, এই দিন যে উপহারগুলি তারা পায় তা দিয়ে যায় সান্তা ক্লজ। আগের দিন রাতে, মোজায় ভরে সান্তা ক্লজ রেখে যায় তাদের ভাললাগার জিনিসগুলি। যে কারণে, সান্তা ক্লজ সকল শিশুদেরই খুব প্রিয় মানুষ।


লাল রঙের জামা-প্যান্ট আর টুপি পরে, স্লেজ গাড়িতে চড়ে ২৪ ডিসেম্বরের সারা রাত বাড়ি বাড়ি ঘুরে শিশুদের উপহার বিলিয়ে বেড়ায় সান্তা। যুগ যুগ ধরে সে দেশে দেশে এ কাজ করে বেড়াচ্ছে।


অথচ তার বাড়ির হদিশ যদি সকলের কাছে থাকত, সে ক্ষেত্রে সান্তাকে এত দৌড়োদৌড়ি করতে হতো না। বরং বাচ্চারা নিজেরাই সেখানে গিয়ে নিজেদের পছন্দের খেলনা নিয়ে নিতে পারত। তেমন কাহিনিই রয়েছে ‘দ্য পোলার এক্সপ্রেসট (২০০৪) ছবিতে। কিন্তু বাস্তবে সান্তার বাড়ি কোথায়— এই প্রশ্ন চিরকাল পাক খায় বিশ্বসুদ্ধ শিশুর মনে।


অনেক গবেষণা করে জানা গেছে, সান্তা ক্লজের বাস উত্তর মেরুতে (‘পোলার এক্সপ্রেস’-এর গল্পও তা-ই বলে)। কারণ, বরফের জন্যই সেখানে স্লেজ গাড়ি ব্যবহার হয়। এবং, সান্তার স্লেজ গাড়ি যে বল্গা হরিণগুলি টানে, তাদের প্রাকৃতিক বাসও ওই অঞ্চলেই।


কিন্তু, উত্তর মেরুর ঠিক কোথায়?


ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডের রোভানিয়েমি-তে রয়েছে শিশুদের সেই স্বপ্নরাজ্য। সে দেশে সান্তা ক্লজের নাম ‘জৌলুপুক্কি’। ২০১০ সালে, ল্যাপল্যান্ডকেই সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয় সান্তার বাসস্থান হিসেবে। কারণ, এই গ্রামটির অবস্থা মেরুবৃত্তের মধ্যেই।


বরফের চাদরে মোড়া পরিবেশের মধ্যেই সেখানে রয়েছে সান্তার কাঠের বাড়ি। চারপাশে ‘ক্রিসমাস ট্রি’ বা পাইন গাছগুলিও এই সময়ে ঢাকা থাকে বরফে। কিন্তু, ভেতরে ঢুকলে সে এক অন্য জগৎ। সামনের ঘরেই বসে থাকেন স্বয়ং সান্তা, সকলকে অভ্যর্থনা করার জন্য। ইচ্ছে হলে সান্তার সঙ্গে ছবিও তোলা যায়। কিন্ত, তা নিজের ক্যামেরায় নয়। একটি ছবি তোলার খরচ ৩০ ইউরো।


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সান্তার বাড়িতে পাওয়া যায় উপহারের নানা জিনিস। স্লেজে চড়ার ব্যবস্থাও থাকে। ৪০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পাইনের সারির ভেতর দিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করার সে এক অভিনব অভিজ্ঞতা। বছরের এই সময়টা ল্যাপল্যান্ডের তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১৩ ডিগ্রিতে।


বড়দিন উপলক্ষে, ল্যাপল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ পর্যটকের ঢল নামে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই দেখা করেন সান্তা।

বিদেশি পত্রিকা অবলম্বনে