ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৭:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের বাস থেকে ফেলে নারীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরের তাকওয়া পরিবহন নামে একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে চম্পা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কয়েকশ উত্তেজিত জনতা কয়েকটি মিনিবাস ভাংচুর করেন।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে নয়টার দিকে শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজারের তাহের সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চম্পা বেগম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ও চান্দুরা সুরুজ আলীর মেয়ে। চম্পা স্বামীর সঙ্গে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন। 

চম্পার ভাজিতা সুমন মিয়া জানান, স্বামীর সঙ্গে চম্পা গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। আর তার ছোট বোন উপজেলার নয়নপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। শুক্রবার ছোট বোনের বাড়িতে তাদের বাবা গ্রাম থেকে বেড়াতে এলে চম্পা বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য ছোট বোনের বাড়িতে আসেন। বাবার সঙ্গে দেখা শেষে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার জন্য নয়নপুর থেকে বাসে উঠেন। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর বাসের সহকারীর সঙ্গে কোনো এক বিষয় নিয়ে বিতণ্ডা শুরু হলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বালুর গাড়ির লেবার জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমরা পাশেই বসেছিলাম। এসময় হঠাৎ তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে শব্দ হয়। পরে আমরা মহাসড়কে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।


মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, বাস থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি এখনো নিশ্চিত না। আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস জানান, জড়িত বাসকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসটিকে শনাক্ত করা গেলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমরা নারীর মরদেহ পাইনি। শুনেছি তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন।