ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৬:২৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে

চরাঞ্চলে উঠছে কাঁচা মরিচ, কমছে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বগুড়া সারিয়াকান্দির বিভিন্ন চরাঞ্চলে চাষাবাদ করা কাঁচা মরিচ উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও চরাঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচের ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। আর নতুন মরিচ বাজারজাত হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষকরা বন্যার পানি নামার পর পরই জমিতে জো (কাঙ্খিত পানি) আসার পর আগামভাবে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছেন। তবে এ বছর মৌসুমের শেষের দিকে দেরিতে বৃষ্টিপাতের কারণে আগাম রোপণ করা মরিচে রোগবালাই বেশি হয়েছে। আর মরিচের পচন রোগও বেশি হয়েছে। এতে জমিতে বারবার নতুন মরিচের নতুন চারা দিতে হয়েছে। তবে সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গত কিছুদিন ধরেই এ উপজেলায় মরিচ চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে। তাই মরিচের গাছগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে ও গাছে প্রচুর পরিমাণে মরিচ ধরেছে। তাই কৃষকেরা এখন তাদের পরিপক্ব কাঁচা মরিচ উত্তোলন ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার নারী কৃষি শ্রমিকরা সারিবদ্ধভাবে চরাঞ্চল জুড়ে কাঁচা মরিচ উত্তোলন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা সারাদিন মরিচ উত্তোলন করে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের লেবু মিয়া জানান, এ বছর তিনি ১০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। প্রতি বছরই তিনি মরিচ চাষ করেন ও লাভবান হন। এ বছর চারা লাগানোর পর পরই অতিবৃষ্টি কারণে পচারি রোগের আক্রমণ হয়। এ কারণে শুরুর দিকে মরিচ গাছের অবস্থা ভালো না থাকলেও পরবর্তীতে পরিচর্যার কারণে গাছগুলো বেশ বেড়ে উঠেছে। এখন ভালো আবহাওয়ায় গাছে বেশ মরিচ ধরেছে। এ পর্যন্ত তিনি তার মরিচ ক্ষেতে তিনবার মরিচ উত্তোলন করেছেন। প্রতিবার বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে আট মণ করে মরিচ পেয়েছেন। বাজারে প্রতিমণ মরিচ ২৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।

সারিয়াকান্দির পাইকারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার বিভিন্ন আড়তে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি হতে শুরু করেছে। উপজেলার যমুনা তীর ঘেঁষে চার থেকে পাঁচটি কাঁচামালের আড়ৎ গড়ে উঠেছে। প্রতিটি আড়ৎ-এ প্রতিদিন  ১৫০ থেকে ২০০ মণ পর্যন্ত মরিচের আমদানি হচ্ছে। প্রতিমণ মরিচ সাদা ২১০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা এবং কালো ২৮০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর এ উপজেলায় ৩৩১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল, চার হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ। এ বছর উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, ৩২০০ হেক্টর। কিন্তু মরিচ বপন বা রোপনকালীন সময়ে বৈরী আবহাওয়ায় জন্য ৩১৭০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।


সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে বৈরী আবহাওয়ার জন্য মরিচ গাছের সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের পরামর্শে ও পরবর্তীতে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এখন বিভিন্ন এলাকায় মরিচের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকেরা কাঁচা মরিচ বাজারে বিক্রি করছেন ও ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এতে বাজারে মরিচের সংকট দূর হয়েছে। বাজারে মরিচের দাম কমতেও শুরু করেছে।