ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪৯:০৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

চাঁদের মাটি নিয়ে পৃথিবীর পথে রওনা দিল চীনা চন্দ্রযান

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

চাঁদের মাটি ছেড়ে পৃথিবীর পথে রওনা হয়েছে চীনা চন্দ্রযান চ্যাং’ই- ফাইভ। সঙ্গে নিয়ে আসছে নুড়ি ও বালির নমুনা। বৃহস্পতিবার চন্দ্র পৃষ্ট ছেড়ে কক্ষপথে মূল যানে যোগ দেয় অ্যাসেন্ডার।

গত মঙ্গলবার চ্যাং’ই- ফাইভের ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে। এর পরপরই পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য সেটি পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ শুরু করে।

এসব নমুনা প্রথমে পাঠানো হয় চাঁদকে প্রদক্ষিণকারী একটি মহাকাশযানে। যানটি সেগুলো নিয়ে পৃথিবীতে ফেরত আসবে। বৃহস্পতিবার সেই কাজ শুরু হয়েছে।

চীন গত সাত বছরে তিনবার চাঁদে চ্যাং’ই মহাকাশযান পাঠিয়েছে। এর আগে চ্যাং’ই- থ্রি এবং চ্যাং’ই- ফোর চাঁদে স্ট্যাটিক ল্যান্ডার ও ছোট রোভার নামায়। তবে সর্বশেষ অভিযানটি আগের দুটোর তুলনায় অনেক বেশি জটিল।

এক সপ্তাহের কিছু আগে ৮.২ টন ওজনের চীনা রকেটটি পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। এরপর মাল্টি মডিউল প্রোবটি চাঁদের কক্ষ পথে ঘুরতে থাকে। এরপর সেটা দু’ভাগে ভাগ হয়। একটি ভাগে ছিল একটি ল্যান্ডার এবং আরেকটি অ্যাসেন্ডার রকেট। সেটি চাঁদের অবতরণ করে।

নমুনা সংগ্রহ শেষ হলে অ্যাসেন্ডারের মাধ্যমে চাঁদ প্রদক্ষিণকারী রকেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর শুরু হয় পৃথিবীতে ফিরে আসার মিশন।

চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে শেষবারের মতো পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৪৪ বছর আগে। আমেরিকান অ্যাপোলো মিশনের নভোচারীরা এবং সোভিয়েত আমলের রোবটিক ল্যান্ডার প্রায় ৪০০ কেজি নমুনা নিয়ে এসেছিলেন।

এসব নমুনা ছিল খুবই প্রাচীন, প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগের। তবে চ্যাং’ই- ফাইভ যেসব নমুনা আনবে সেগুলো একেবারেই ভিন্ন। ১২০ থেকে ১৩০ কোটি বছর পুরোনো।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ মিশনে সংগ্রহ করা দুই কিলোগ্রাম নমুনা চাঁদের সৃষ্টি, গঠন ও সেখানে আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

অভিযানটি পরিচালিত হয় ওসেনাস প্রসেলারারাম নামে পরিচিত একটি নিকটবর্তী অঞ্চলে, যেখানে রয়েছে আগ্নেয়গিরির লাভার জটিল বিন্যাসে গঠিত মনস রামেকার।

নিকটবর্তী অঞ্চল বলতে চাঁদের যে মুখটি পৃথিবী থেকে দেখা যায়, তাকে বোঝানো হয়। এর আগে উল্টোদিকের দূরবর্তী অঞ্চলে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি যান পাঠায় এশিয়ার দেশটি।

সপ্তাহ দেড়েক চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশ থেকে চ্যাং’ই-ফাইভ চন্দ্রযানটিকে একটি রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১১২ ঘণ্টার মহাকাশ সফর শেষে চন্দ্রযানটি ২৮ নভেম্বর চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। আর মঙ্গলবার চাঁদের নিকট প্রান্তে অবতরণ করে।

চ্যাং’ই- ফাইভের সংগ্রহ করা নমুনা একটি ক্যাপসুলে পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, যা অবতরণ করবে উত্তর চীনের মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে।

-জেডসি