ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪০:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪ তেল-আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই, মাছের বাজার চড়া ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজাল’ অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

ডাকাতি করতে গিয়ে ৪ নারীকে ধর্ষণ, ৫ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে ডাকাতি করতে গিয়ে একই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে দুই মেয়াদে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঈন উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ডাকাতির দায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘আদালত এই মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এবং একজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন হাজতে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন একজন। খালাসের আদেশের বিষয়ে আমরা অসন্তুষ্ট। এটি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য আমরা আদালতে আপিল করবো।’ দুই অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা ও অর্থদণ্ড একটার মেয়াদ শেষ হলে অপরটি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মিজান মাতব্বর প্রকাশ শহিদুল ইসলাম (৪৫), আবু সামা (৩৭), মহিদুল ইসলাম মুন্সি প্রকাশ রুবেল (৩১), জহিরুল ইসলাম প্রকাশ জহিরুল হাওলাদার (২৪), ইলিয়াছ শেখ প্রকাশ সুমন (৩৬)। এদের মধ্যে ইলিয়াছ শেখ পলাতক রয়েছেন। হাজতে থাকলেও রায়ে খালাস পান আব্দুল হান্নান মেম্বার।

এর আগে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতরা। তারা ওই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের পর মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার নারীরা ঘটনার পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে স্থানীয় সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে মামলা নেয় পুলিশ। ভিকটিমের আত্মীয় রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ১৯ সালের ৩০ আগস্ট চার্জশীট দাখিল করে৷ ২০ সালের ২২ নভেম্বর বিচার শুরু হলে একে একে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।