ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩২:২৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

দুই বছর না যেতেই ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ   

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ৯ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর না যেতেই পদত্যাগ করলেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে, ঠিক কী কারণে এত কম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন বোর্ন, তা জানা যায়নি এখনও। চলতি বছরের শেষের দিকে ইউরোপীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার শীর্ষ দলে রদবদল করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবেই হয়তো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এলিজাবেথ।

বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, বোর্ন দায়িত্বে থাকাকালীন তার কাজে সাহস, প্রতিশ্রুতি এবং সংকল্প দেখিয়েছিলেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে কাকে নিযুক্ত করা হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে এলিসি প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বোর্নই এই পদে থাকবেন।

দায়িত্বকাল দুই বছরের কম হলেও বোর্ন ফ্রান্সের দ্বিতীয় নারী, যিনি এত বেশিদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এডিথ ক্রেসন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ড।

সম্প্রতি ফরাসি সরকারে রদবদলের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। সামনের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগেই নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। ওই একই সময়ে অলিম্পিক গেমস আয়োজন হবে ফ্রান্সে।

আরও তিন বছর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ম্যাক্রোঁ। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশজুড়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বিতর্কিত নীতি এবং আইনী পরাজয়ের কারণে যেভাবে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে তার সরকারের অবস্থানকে আরও জোরালো করতে কিছু সংশোধণ আনা প্রয়োজন।

গত ডিসেম্বরে অভিবাসন আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বড় ধরনের পরাজয়ের সম্মুখীন হয় ম্যাক্রো প্রশাসন। এই ঘটনাকে ম্যাক্রোঁ সরকারের জন্য ব্যাপকভাবে সংকটের মুহূর্ত হিসাবেই দেখা হয়েছে। তবে ডানপন্থী বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে ছাড় দেওয়ার পর ওই আইন শেষ পর্যন্ত পাস করা সম্ভব হয়। তবে ম্যাক্রোঁর দল এখনও ইউরোপীয় ভোটে একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।