ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪১:০৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ জনের প্রাণহানী কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় নারীসহ ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম গ্রীসে অভিবাসীদের নৌকাডুবি: ৬ শিশুর মরদেহ উদ্ধার ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী

দেশের রপ্তানীতে আইসিটিই সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১০:১৪ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইসিটি খাতে আমাদের উৎপাদিত পণ্য ভবিষতে দেশের রপ্তানীতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে। কাজেই আমাদের ছেলে-মেয়েদের সেভাবেই আমরা প্রশিক্ষণ দিতে চাই।

আজ রোববার যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’-এর উদ্বোধনকালে এ সব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আইটি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।


উন্নয়নের ছোঁয়াকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়াই তার সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক জেলাতে আমরা একটা করে হাইটেক পার্ক করে দেবো।’


সরকার আশা করছে, ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতের আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এবং জিডিপিতে সফ্টওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি সরকার প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে খেয়াল করেনি, শুধুমাত্র হাওয়া ভবন খুলে অনিয়ম-দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে।


শেখ হাসিনা বলেন, তখনতো হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির একটা আখড়া করা হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটা সরকার সেখানে ছিল।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৯ সালের ১৭ জুলাই আমাদের বিনিয়োগ বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম আমরা একটা হাইটেক পার্ক করবো। কালিয়াকৈরে বিশাল জায়গা থাকাতে সেখানেই এই পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলো। জয়ই (প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়) আমাকে পরামর্শ দিল। সেখানে একটি হাইটেক পার্ক করলে আমাদের কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, রপ্তানী বৃদ্ধিসহ অনেক কাজ আমরা করতে পারবো।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সেই সময় আমাদের এত আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও আমাদের সীমিত ছিল। তাই চিন্তা করলাম সেখানে কেউ বিনিয়োগ করতে এলে তাকে আমরা সুযোগ দেব বা কারো সাথে যৌথভাবে এটা আমরা করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যাত্রা আমরা শুরু করেছিলাম ২০০৮এর নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সেটা কিন্তুু আমরা করে ফেলেছি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সরকারের আসার পর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব পদক্ষেপ নেই সেসবেরই একটা অংশ আজকের আইটি পার্ক। আর কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কও তৈরী হচ্ছে, সেটার কাজও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।


শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এই টেকনোলজি পার্কটা যশোরে করা হয়েছে- আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকাকে উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট করেই আমাদের কাজ করা উচিত। সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।


যশোরের মত জায়গায় সমস্ত সুযোগ-সম্বলিত আধুনিক এই পার্কটি মানুষকে আকৃষ্ট করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন- এখানে বহুলোকের যেমন কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি আমাদের দেশকেও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পথে একটা ধাপ আমরা অতিক্রম করতে পারলাম।


অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। গণভবনে এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।