ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ০:২৪:৪২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪ তেল-আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই, মাছের বাজার চড়া ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজাল’ অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

নারীদের কাজী নিয়োগ না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন বিধানে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা সন্তানকে অন্তর্ভুক্ত না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে কাজী নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গত সোমবার মানবাধিকার ও আইন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী এ রিট দায়ের করেন। বুধবার তিনি রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী বলেন, ২০০৯ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন বিধানের ২০১৩ সালের সংশোধনীতে বলা আছে, যদি কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার মারা যান সেই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার পুত্র সন্তান অগ্রাধিকার পাবেন। ওই বিধানে তার কন্যার যদি কাজী হওয়ার সব যোগ্যতা থাকে তবুও তার নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। আমরা মনে করি এ বিধানে লিঙ্গ বৈষম্য করা হয়েছে। এ কারণে চ্যালেঞ্জ করেছি।

যদি কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার মারা যান সেই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার পুত্র সন্তান অগ্রাধিকার পাবেন। ওই বিধানে তার কন্যার যদি কাজী হওয়ার সব যোগ্যতা থাকে তবুও তার নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। আমরা মনে করি এ বিধানে লিঙ্গ বৈষম্য করা হয়েছে। এ কারণে চ্যালেঞ্জ করেছি

রিটে কাজী নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সবার সমান সুযোগ রাখার নির্দেশনা চেয়েছি। আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে— জানান ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার।

এদিকে, গত বছরের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রায় দেন যে, বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না। ওই রায়ের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।