ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪:৩৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সবজি ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে , চাল-আলুর দাম বাড়তি দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, বন্ধ সব প্রাইমারি স্কুল ৩ মাস পর চালু হলো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ১৭ বছর পরও সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবাসী গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকে ক্ষুধার্ত মানুষের হানা ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত

নারীদের সুস্থ থাকতে যে ৫টি টিকা নেওয়া জরুরি 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরে কোনো রোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। তার পরামর্শে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হয়ে উঠি। তবে কিছু রোগ আছে যেগুলো ওষুধের মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নারীদের কিছু রোগ আছে, যেগুলো টিকা ছাড়া পুরোপুরি সুস্থ হওয়া একেবারেই সম্ভব না। আর নারীরা সুস্থ না থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুস্থভাবে বিকাশ হবে না।
বিশ্বে বিভিন্ন রকম রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের টিকা আছে। টিকা নেওয়ার ফলেই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বহু রোগকে। টিকা আমাদের প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। বিশেষ করে প্রত্যেকটি নারীরও উচিত ভ্যাকসিনেশন বা টিকা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সময়মতো টিকা নেওয়া। তা হলেই বিভিন্ন গুরুতর রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। 

প্রথমত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। এইচপিভি সংক্রমণ হলো, সবচেয়ে সাধারণ যৌনবাহিত সংক্রমণগুলোর মধ্যে একটি। চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সার্ভিক্যাল ক্যানসার এইচপিভি ভাইরাসের কারণেই হয়। এ ভ্যাকসিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। ফলে সার্ভিক্যাল ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। এই ভ্যাকসিন মলদ্বারের ক্যানসার, মুখ, গলা, মাথা এবং গলার ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে। এই টিকা দেওয়ার আদর্শ বয়স হলো ১১ বা ১২ বছর। 

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুর ভ্যাকসিন যে কেউ নিতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মহিলা অথবা যাদের ইমিউনিটি দুর্বল, হাঁপানি বা আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন তাদের অবশ্যই এ ভ্যাকসিন নিতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সি বাচ্চারাও এটি নিতে পারে। কোনো নারী এই ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকলে, গুরুতর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হতে পারে। 

টিটেনাস, ডিপথেরিয়া ও পারটুসিস এই ভ্যাকসিন টিটেনাস, ডিপথেরিয়া এবং পারটুসিস (হুপিং কাশি) থেকে রক্ষা করে। এসব রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে। নারীরা গর্ভাবস্থার যে কোনো সময় টিডিএপি ভ্যাকসিন নিতে পারেন, তবে এ ভ্যাকসিনের আদর্শ সময় হলো গর্ভাবস্থার ২৭ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে। এতে মা ও বাচ্চা সুরক্ষিত থাকবে। 

হাম, মাম্পস ও রুবেলা এমএমআর ভ্যাকসিন হাম, মাম্পস এবং রুবেলা থেকে রক্ষা করে এ ভ্যাকসিন। এই ভাইরাসগুলো ব্রেন ড্যামেজ, বধিরতা এবং এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। শিশুর বয়স ১২-১৫ মাস হয়ে গেলে, এই টিকা দেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ ৪-৬ বছর বয়সের মধ্যে এবং আরেকটি ডোজ ১৫ বছর বয়সে দেওয়া যেতে পারে। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন এই ভ্যাকসিনটি হেপাটাইটিস বি থেকে রক্ষা করে।

এ ভাইরাস লিভারের রোগ ও লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এই টিকা সব নবজাতককে দেওয়া হয়। তবে যারা এই ভ্যাকসিন মিস করে যান, তাদের এ তিনটি ভ্যাকসিনের সিরিজ যে কোনো সময় দেওয়া যেতে পারে।

সূত্র : বোল্ড স্কাই