ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৮:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

নারীর ক্ষমতায়নে দ্বার খুলে দেবে আইসিটি খাত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪০ এএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে নারীর কাজের সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমান সরকার এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে,  সরকার আইসিটি সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আইটি সেক্টরে দশ হাজারেরও বেশি দক্ষ নারী জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগীতায় পরিচালিত লিভার্জিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের অধীনে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারী যাতে অংশগ্রহণ করে সে জন্য বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক প্রচারনা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এর তথ্য মতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ নব্বইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সায়েন্স অথবা তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পড়ছে প্রায় ২৫ শতাংশ মেয়ে। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ হতে পরিচালিত জরিপে এ তথ্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ শতাংশ ছাত্রীর মধ্যে পড়ালেখা শেষে ১৩ শতাংশ আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত হন। আর মাত্র এক শতাংশ নারী আইসিটি সংক্রান্ত কোন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিওএসএন) এর মতে, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত আইসিপিসি ঢাকা রাউন্ডের প্রাথমিক বাছাই পর্বে ৯৭৯টি টিমের মধ্যে মাত্র পাঁচটি টিম ছিল যেখানে নারী নেতৃত্ব দিচ্ছে।

জরিপ শেষে (বিওএসএন) নারীদের উৎসাহী করতে বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক প্রচারনা চালায়। ফলপ্রসু ২০১৬ সালে দেখা যায় বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ওই একই প্রতিযোগীতায় ১২৯টি টিমে নারী অংশ নিয়েছে।

বিওএসএন সাধারন সম্পাদক মুনীর হাসান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল মেয়েদের আরো বেশি করে আইসিটি সেক্টরের সাথে সংযুক্ত করা। এ লক্ষ্যে আমরা দু’টি প্রজেক্ট হাতে নিই। ‘গার্লস ইন আইসিটি’, এবং ‘মিসিং ডটার’। 

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণীতে মেয়েদের অংশগ্রহণের সংখ্যা বাড়ানো। এসব ক্ষেত্রগুলোতে তারা যেন তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে। কারণ এসব সেক্টরে মেয়েদের অংশগ্রহণ আশানুরুপ নয়।

তিনি আরও বলেন, বিওএসএন অনেক উদ্দীপনামূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধুমাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দিতেই আমাদের এতসব প্রচারনা চালাতে হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১.২ মিলিয়ন চাকরি তৈরি হয়। আর এসব চাকরির অধিকাংশই ছেলেদের দখলে থাকে।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান বলেন, অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি নারীর কর্ম ক্ষেত্রের জন্য অনেক বেশি উপযোগী।

তিনি বলেন, যেসব নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তারা এই সেক্টরে আসতে পারেন। এই সেক্টরে কাজের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।