ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ২:৪৮:৪৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজিমপুরে ডাকাতরা মালামালের সঙ্গে শিশুকেও নিয়ে গেছে সবজি ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে , চাল-আলুর দাম বাড়তি দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, বন্ধ সব প্রাইমারি স্কুল ৩ মাস পর চালু হলো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ১৭ বছর পরও সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবাসী গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকে ক্ষুধার্ত মানুষের হানা ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত

নারীর সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়ায় যেসব খাবার

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৮ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নারীর শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি হলো জরায়ু। নারীর প্রজনন ব্যবস্থার মৌলিক অংশ হিসাবে এটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। কিছু খাবার জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার মাধ্যমে প্রজনন ব্যবস্থার উন্নতি করে। বর্তমানে নারীর মধ্যে বন্ধ্যাত্ব বা সন্তান ধারণে অক্ষমতার সমস্যা অনেক বেশি বেড়েছে। অনেক নারী পিসিওডি বা পিসিওএস-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন। বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। প্রজনন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দূর করতে হলে সবার আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে। সুস্থ প্রজনন ব্যবস্থার জন্য সুস্থ শরীর অপরিহার্য।

খাবার আমাদের শরীর গঠনের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। এবং অবশ্যই সেগুলো স্বাস্থ্যকর ও সঠিক খাবার হতে হবে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫ ধরনের খাবার সম্পর্কে যেগুলো নারীর প্রজনন ব্যবস্থার উন্নতি করে সন্তান ধারনের ক্ষমতা বাড়ায়-


কার্বোহাইড্রেট

লাল চাল, লাল আটা, ওটস ইত্যাদিতে আপনি পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট পাবেন। এ ধরনের খাবারে আছে সন্তান ধারণে সক্ষমতা বাড়ানোর মতো পুষ্টি উপাদান যেমন জিংক, সেলেনিয়াম ও প্রচুর ভিটামিন বি। হরমোনের ভারসামন্য ও প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এ ধরনের খাবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা ময়দা বা সাদা চিনি যা মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়; এ ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার পুরোপুরি বাদ দেওয়া বা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।


ডিম

বিভিন্ন ভিটামিনের অনেক বড় উৎস হলো ডিম। এটি প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে। ডিমে আরও রয়েছে ওমেগা ৩ ও কোলিন। এটি প্রথমত সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়ায়, দ্বিতীয়ত অনাগত শিশুর জন্মগত কিছু ত্রুটি দূর করতে কাজ করে। তাই সুস্থ প্রজনন ক্ষমতার জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

তেলযুক্ত মাছ

মাছে থাকে স্বাস্থ্যকর তেল বা চর্বি যা ওমেগা ৩ বা ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড নামে পরিচিত। প্রজনন ব্যবস্থার উন্নতি ছাড়াও এটি ত্বকের শুষ্কতা, চুলের রুক্ষতা, নখের ভঙ্গুরতা, ক্লান্তি, অস্বস্তি, অতিরিক্ত ওজন, পিএমস, বাতের ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, দেরিতে ক্ষত শুকানো, ত্বক ফাটা ও চুল পড়ার মতো সমস্যা দূর করে। তেলযুক্ত মাছ খেলে তা আমাদের পেশির উন্নতির পাশাপাশি অনেক রকম অসুখকেও দূরে রাখে।

বেরি জাতীয় ফল

সন্তান নিতে চাচ্ছেন এমন নারীর জন্য অন্যতম উপকারী খাবার হলো বেরি জাতীয় ফল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ বেরি প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ফোলেট এবং ভিটামিন সি যুক্ত এসব ফল নারীর গর্ভস্থ ভ্রুণের বিকাশেও সাহায্য করে। এ জাতীয় ফল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ করে। বেরি জাতীয় ফল খুব সহজেই খাবারের সঙ্গে মেশাতে পারেন। ডেজার্ট, স্মুদি, ফ্রুটস বোল, সালাদ ইত্যাদিতে রাখতে পারেন এই ফল। 

দই

পেটের স্বাস্থ্যের জন্য দই খুবই উপকারী। এটি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস এবং পাচনতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি পেটের আলসার ও ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন দূর করতেও কাজ করে। দইয়ে আছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যা হাড় ভালো রাখতে কাজ করে। তাই প্রতিদিন এক কাপ দই খাওয়া নারীর জন্য জরুরি। চাইলে এর সঙ্গে তাজা ফল বা বাদাম মেশাতে পারেন।

যেসব খাবার খাবেন না

যেসব খাবার নারীর প্রজনন ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বাদ দিতে হবে বা খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। যেমন কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে, অ্যালকোহল গ্রহণ ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। প্রসেসড ফুড যেমন ফাস্টফুড, রেডি টু ইট জাতীয় খাবার, প্যাকেটজাত খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে থাকে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট ও কেমিক্যাল। সেইসঙ্গে এগুলোতে থাকে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি। এসব খাবার প্রজনন ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।