ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ৫:১২:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

নিজের খুশির জন্য অন্যের উপর ভরসা করা বৃথা: লোপেজ

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

জেনিফার লোপেজ।

জেনিফার লোপেজ।

নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন জেনিফার লোপেজ। সেই সফরে জীবনের সঙ্গে নতুন করে চেনাশোনাও হচ্ছে তার। এক সাক্ষাৎকারে হলিউডের অভিনেত্রী এবং পপ গায়িকা বলছেন, তিনি এত দিনে বুঝে উঠতে শুরু করেছেন, জীবনের কাছ থেকে তিনি আসলে কী চান?

ইন্টারভিউ পত্রিকাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে জেনিফার বলেছেন, ‘আমি এক জন সুখী মানুষ। অথচ তা সত্ত্বেও ভাল থাকার জন্য আমি অন্যদের উপর নির্ভর করতাম। না-জানা এক অলীক শূন্যস্থান পূরণের আশা করতাম অন্য মানুষের কাছে। এত দিনে বুঝলাম। ব্যাপারটা ভুল। আমি একাই যথেষ্ট ভাল থাকার জন্য।' 

এই আগস্টেই স্বামী বেন অ্যাফ্লেকের থেকে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন জেনিফার।

হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা বেনের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক জেনিফারের। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার বহু বছর পরে ২০২২ সালে আবার দু’জনের সম্পর্ক জোড়া লাগে। দু’জনে বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়ে দু’ বছর পেরনোর আগেই গড়াল বিচ্ছেদে। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিচ্ছেদে ভেঙে পড়বেন জেনিফার। কিন্তু জেনিফার জানিয়েছেন, তিনি শুধু ভাল আছেন তা-ই নয়, ভাল থাকার মূল মন্ত্রও এখন তার হাতের মুঠোয়।

জেনিফারের মতে, ‘যদি আমরা এগোতে না পারি তবে বুঝতে হবে এক অর্থে আমাদের মৃত্যু হয়েছে।’

জেনিফার বলেছেন, ‘আমি এখন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছি। সেই সফর সহজ নয় এটা গোটা জীবনের প্রক্রিয়া। তবে ওই অনিশ্চয়তার জন্যই জীবন আমার কাছে প্রিয়। আমরা কোথায় পৌছচ্ছি সেটা জরুরি নয়। কী ভাবে চলছি, এগোচ্ছি কি না, আরও উন্নত হচ্ছি কি না, সেটাই জরুরি।’

জেনিফারের মতে, ‘যদি আমরা এগোতে না পারি তবে বুঝতে হবে এক অর্থে আমাদের মৃত্যু হয়েছে। আমার কাছে মৃত্যুর থেকে এগিয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়।’

জেনিফার এখন ৫৫। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি অবশেষে বুঝেছেন, ‘নিজেকে নিয়ে আনন্দে থাকতে পারাটাই আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। কখনও সখনও এটা দুঃখের বলে মনে হলেও আদতে দীর্ঘমেয়াদে এই ভাবনাটাই আপনাকে ভাল রাখবে।’

তিনি বলেছেন, ‘কোনও সম্পর্কে থাকা বা না থাকা আমার মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। কারণ আমরা নিজেদের সুখের চাবিকাঠি অন্যের ঘরে খুঁজতে পারি না। সেটা আমাদের নিজেদের ঘরেই খুঁজে পেতে হবে।’