ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮, এপ্রিল ২০২৫ ৯:৪০:৪৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
এসএসসি পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি অনিশ্চয়তায় ৩৬৮ হজযাত্রী মানিকগঞ্জে কার্টনে মোড়ানো লা*শের পরিচয় মিলেছে রাজধানীতে বহুতল ভবনে আগুন, নিহত ১ গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ধর্মঘট

নূরজাহান বেগমের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ৪ জুন ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের জন্য প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বেগম’-এর সম্পাদক নূরজাহান বেগমের জন্মদিন আজ। ১৯২৫ সালের ৪ জুন মেঘনাপারের চাঁদপুরের চালিতাতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

নূরজাহান বেগমের নাম প্রথমে ছিল নূরুন নাহার। মা-বাবা আদর করে ডাকতেন নূরী। পরে নানি নূরজাহান বেগমের ইচ্ছায় নানির নামে নাতনির নামও হয়ে যায় নূরজাহান বেগম।

নূরজাহানের বাবা মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ছিলেন মাসিক সওগাত পত্রিকার সম্পাদক। পত্রিকাটি নূরজাহান বেগমের জন্মের সাত বছর আগে প্রকাশিত হয়।

কলকাতার দোতলা বাড়ির দোতলায় সওগাত অফিস। বাবার কাজে সাহায্য করতে করতেই পত্রিকার সঙ্গে পরিচয় হয় নূরজাহান বেগমের।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন নূরজাহান বেগম। এরপর স্কুল পাল্টালেও ১৯৪২ সালে ওই স্কুল থেকেই মেট্রিক পাস করেন তিনি। তিনি লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পাস করেন।

১৯৪৬ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে নূরজাহানও নেমে পড়েন সমাজকর্মে। তারপর সপরিবারে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন। ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় বেগম পত্রিকা। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।

প্রথম চার মাস পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল। তখন এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পান নূরজাহান বেগম। এরপর থেকে তিনিই হন বেগম-এর সম্পাদক। বেগম পত্রিকা ১৯৫০ সাল থেকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। টানা প্রায় ৬০ বছর ধরে এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

নূরজাহান বেগম সাংবাদিকতা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলেন। বাবা মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের অমতে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন দৈনিক ইত্তেফাক-এর ‘কচি-কাঁচার আসর’ নামের ছোটদের পাতা সম্পাদনাকারী রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইকে। তাদের দুই মেয়ে ফ্লোরা নাসরিন ও রিনা ইয়াসমিন।

নারীর অবস্থার উন্নয়ন ও সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য নূরজাহান বেগম বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৬ সালে ‘নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠ চক্র’-এর সন্মাননা, ১৯৯৭ সালে রোকেয়া পদক, ১৯৯৯ সালে গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি থেকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট, ২০০২ সালে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক নারী সংগঠন ইনার হুইল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮ সম্মাননাসহ আরও বহু পুরস্কার। এছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ অনেক সংগঠন থেকে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন।

গত ২৩ মে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন উপমহাদেশে নারী সাংবাদিকতার অগ্রপথিক নূরজাহান বেগম। মৃত্যুর পর এটাই নূরজাহান বেগমের প্রথম জন্মদিন। বাংলার নারী সমাজের অন্যতম আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন তিনি।

একজন সাধারণ নারী হিসেবে নূরজাহান বেগমের জীবনযাপন কেমন, সেটাই তথ্যচিত্রে তুলে ধরতে চেয়েছেন তার নাতনি প্রিয়তা ইফতেখার। তাই তাকে নিয়ে তৈরি করেছেন ১৫ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র।

আজ শনিবার সকালে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখানো হয় তথ্যচিত্র ইতিহাসের কিংবদন্তি নূরজাহান বেগম।