ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪৪:৫৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বরে) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে এ তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি  জানান প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি জানান, গতকালের থেকে তাপমাত্রা অনেক কমেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বর নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। 


শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন সীমান্ত জেলার মানুষগুলো। এ কারণে নিম্নবিত্তরা শহরের ফুটপাতের দোকান থেকে নিজেদের সাধ্যমত কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

গ্রামীণ নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।


চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এ সময় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান,‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।