ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ৩:৪৯:৪১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

পাহাড়ি পণ্য বিক্রি করে সফল উদ্যোক্তা এপি চাকমা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এপি চাকমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা পার্বত‌্য জেলা খাগড়াছড়িতে। স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর চাকরি না করে হয়ে উঠেছেন ই-কমার্স উদ্যোক্তা। কিন্তু অনলাইনে ব্যবসা শুরুর আগে নিজের কাজকে সঠিকভাবে উপস্থাপনে অদক্ষতার কারণে পিছিয়ে যেতেন তিনি। পরে ব্যবসানির্ভর গ্রুপ উইতে (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) যুক্ত হওয়ায় ব্যবসা করা সহজ হয়েছে এপি চাকমার। এছাড়া, উইতে ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাবেক সভাপতি রাজীব আহমেদের পোস্ট পড়ে শিখতে পারেন ব্যবসার খুঁটিনাটি।

এপি চাকমা ফেসবুক পেজ ‘Hilly foods’-এর মাধ্যমে ব্যবসা করছেন পাহাড়ি অনেক পণ্য নিয়ে। তার উল্লেখযোগ্য পণ্য হলো—বিন্নি চাল, ঢেঁকি ছাটা চালের গুঁড়া,  জিরার গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া। আচারের মধ্যে আছে—বাঁশ কোড়লের আচার, রোজেলার আচার, মিক্সড আচার (চালতা, বরই, তেঁতুল ও রোজেলা)। 

এপি চাকমা বলেন, ‘ব্যবসার শুরুটা হলুদ, ঢেঁকি ছাটা চালের গুঁড়া এবং বিন্নি চাল নিয়ে হলেও পরে আমার পেজে যুক্ত করি নিজেদের ঘরে বানানো অনেক খাবার। হলুদ ও বিন্নি চাল নিয়ে ব্যবসা করি, কারণ হলুদ এখানে সহজলভ্য আর আমরা নিজেরাই এসব চাষ করি। বর্তমানে ঢেঁকি ছাটা চালের গুঁড়া আর ঢেঁকি দেখা যায় না বললেই চলে। তাই, মানুষ ইচ্ছে করলেও ঢেঁকি ছাটা চালের গুঁড়ার পিঠা খেতে পারে না। আর মেশিনে করা চালের গুঁড়াতে স্বাদ তেমন থাকে না। এজন্যই মূলত ঘরের জিনিস নিয়েই ব্যবসা শুরু করেছিলাম আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ছোটখাট কারখানা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। কারণ হলুদ, মরিচ মিলিং (মিলে ভাঙানো) করতে গেলে যদি আমি বা বাবা ওইখানে উপস্থিত না থাকি, তখন পরিষ্কারভাবে মিলিং করতে কিছুটা অসুবিধা হয়। আমার যদি মিলিং করার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে আমি নিজেই শতভাগ পরিষ্কারভাবে মিলিং করতে পারব।’

উদ্যোক্তা জীবনের এক বছরে এপি চাকমা অনেক ক্রেতার আস্থা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে, চালের গুঁড়ার চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতাদের থেকে অর্ডার পেয়েছেন অনেক। হাতে বানানো অন্যান্য পণ্যের চাহিদাও ব্যাপক। এপি চাকমা স্বপ্ন দেখেন সফল উদ্যোক্তাদের খাতায় নিজের নাম লেখানোর।