ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৯:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪ তেল-আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই, মাছের বাজার চড়া ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজাল’ অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আজ বুধবার দ্বিতীয় দফায় সংলাপ শেষ হয়েছে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ উপদেষ্টা নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপে বসে লিখিত আকারে এ প্রস্তাব দেয় ঐক্যফ্রন্ট। সংলাপের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

 

ওই সূত্র মতে, ঐক্যফ্রন্ট চারটি পরামর্শ আকারে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা’ তুলে ধরে সরকারের কাছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা নাকচ করে দিয়েছে। দলটি জবাবে বলেছে, এটা সংবিধান সম্মত নয়, এতে সাংবিধানিকশূন্যতা সৃষ্টি হবে। আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষের আবির্ভাব হতে পারে।

 

এছাড়া, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক বন্দিদের জামিনে মুক্তি এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন দাবি পুনরুত্থাপন করেছে ঐক্যফ্রন্ট।

 

সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, "এই পর্যায়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।"


শেখ ফজলুল করিম সেলিম জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট আলোচনার জন্য আরো সময় চায়। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তফসিল পেছানোর কথা বলেছে। তবে আওয়ামী লীগ বা সরকার বলেছে, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।

 

পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন চাইছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। সাত দফার বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। 

 

খালেদা জিয়ার মুক্তি না, জামিন চেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বলেছে, এটা আদালতের বিষয়।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে ১১ সদস্যের ১৪ দলীয় জোটের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যগণ হলেন, ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি এবং অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।

 


অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেনের এ প্রতিনিধিদলে ছিলেন, আ স ম আব্দুর রব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, আব্দুল মালেক রতন এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

 

 

এর আগে পহেলা নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথম সংলাপে বসে সরকার। সেসময় গণভবনে তিন ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে যা শেষ হয়েছিল কোন রকম সমঝোতা ছাড়াই। সেই আলোচনার জের ধরে রোববার ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখে আবারো আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান।

 


চিঠিতে বলা হয়, পহেলা নভেম্বরের সংলাপের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
সেই সূত্র ধরেই পরবর্তী আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

 


বিএনপি, গণফোরাম, জাসদের একাংশ এবং নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বেশ কয়েকটি দাবি।