ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

বসতবা‌ড়ি‌তে বিস্ফোরণ, আহত স্কুলছাত্রীর ঢাকায় মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ৫ মে ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বগুড়ায় বসতবা‌ড়ি‌তে বি‌স্ফোর‌ণের ঘটনায় আহত স্কুলছাত্রী ত‌াস‌নিম বুশরা (১৪) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শনিবার (৪ মে) রাত সা‌ড়ে ৮টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বুশরা বগুড়া শহরের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও মালতিনগর মোল্লাপাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে।

গত ২৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মালতিনগরের মোল্লাপাড়ায় লাকড়ি ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ও রাশেদু ইসলামের বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বুশরাসহ রেজাউলের স্ত্রী রেবেকা ইসলাম (৩৮), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) ও রাশেদুলের মেয়ে জিম (১৩) গুরুতর আহত হয়।

তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুশরাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর তাকে রাখা হয় আইসিইউতে।

বুশরার মামা রা‌শেদুল রিপন ব‌লেন, বি‌স্ফোর‌ণে বুশরা দগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি বাড়ির দেয়ালচাপায় গুরুতর আহত হন। ঢাকায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। মরদেহ বগুড়া আনা হচ্ছে।

গত ২৮ এপ্রিল রাতে রহস্যজনক বিস্ফোরণে ওই বসতবাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। বাড়ির পাকা দেওয়ালসহ ঘরের খাট, আলমারি, আসবাবপত্র ও ফার্নিচার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরদিন ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পটকা, বারুদ ও পটকা বানানোর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড়ির মালিক রেজাউলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রেজাউল পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, তার মা রেজিয়া ও ছোট ভাই রা‌শেদুলকে নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়িতে পটকা তৈরি করে আসছিলেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই মামলায় অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই রেজাউলের মা ও ভাই রাশেদুল পলাতক।

বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বুশরার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।