ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৯:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ জনের প্রাণহানী কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় নারীসহ ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম গ্রীসে অভিবাসীদের নৌকাডুবি: ৬ শিশুর মরদেহ উদ্ধার ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী

বাজেটে আইসিটি খাতে বরাদ্দ ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:১১ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আইসিটি খাতে মোট ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পরিমাণ প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।


অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।



বিদায়ি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় বরাদ্দের এই পরিমান ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ি অর্থবছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা।


অন্যদিকে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এখাতে সার্বিক বরাদ্দের পরিমান ছিল ৪ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা।


অর্থমন্ত্রী মুহিত বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘৬৪টি জেলায় ১১৪টি উপজেলা হতে ১ হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে।’

 

তিনি বলেন, সম্প্রতি কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্র্যান্ডউইথ পাবে। এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা যথাক্রমে ১৫ দশমিক শূন্য ৩ কোটি এবং ৮ দশমিক ৬ কোটি এবং টেলিডেনসিটি ও ইন্টারনেট ডেনসিটির হার যথাক্রমে ৯১ ও ৫০ দশমিক ১ শতাংশ। ইতোমধ্যে দেশের ৬৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী এবং ৪৮ শতাংশ ভৌগলিক এলাকা ৩-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। বাংলা ডোমেইন চালুর ফলে দেশে ও বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ইন্টারনেটে বাংলা ব্যবহার করতে পারছেন।


অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবাকেন্দ্র, ১৪৭টি উপজেলা ও গ্রামীণ ডাকঘরের ই-সেন্টার, ২৫৪টি এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন সেন্টার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পুষ্টি, কৃষি, জন্ম-নিবন্ধন, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাসহ প্রায় সকল সেবা সহজে ও সুলভে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টায় ৩টি দুর্গম পার্বত্য জেলার সব উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা সম্ভব হয়েছে। যা পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র এক মহাউল্লম্ফন।’

 

তিনি বলেন, দেশের ৫৮টি মন্ত্রণালয়, ২৪০টি সরকারি দপ্তর ও ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১৮ হাজার ৪৩৪টি সরকারি অফিসকে একটি একীভূত নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরাসরি কথোপকথনের জন্য এবং একসাথে একাধিক উপজেলায় বার্তা বা তথ্য প্রেরন ও সভা অনুষ্ঠানের জন্য ৮৮৩টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।


এছাড়া, সরকারি দপ্তরে ই-নথির প্রচলন, সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি’র প্রয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যে ই-কমার্সের ব্যবহারের ফলে কাজে যেমন গতিশীলতা বেড়েছে তেমনি জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।


অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি গত ১১ মে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১) মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের এক অনন্য উচ্চতায়।’