ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৯:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আয়ারল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস ভারতীয় আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বাড়ছে দাম ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে যে তথ্য জানা গেল টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা

বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ৬ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে এক মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে’র বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন, নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়ত। সেখানে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজবাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। সে যেন তার স্বামীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নরেশের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় টাকার জন্য বাবার কাছে গেলে দেখে তার নিথর দেহ কক্ষে পড়ে আছে। আশেপাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা কক্ষ গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিকেলে পড়ত। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি নরেশ ভালোভাবে নেননি। এ জন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, মেয়েকে সারারাত বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ে নাছোড় বান্দা। এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরে মেয়ে ভাবল সে কাজটি ঠিক করেনি। তাই বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।