ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৫:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

বিশ্বে প্রতি ৫ মিনিটে সাপের কামড়ে মরছে ১ জন: হু

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

প্রতিদিনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও সাপের কামড়ে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য মতে, প্রতি ৪ থেকে ৬ মিনিটে সাপের বিষে একজন করে মানুষ মারা যান। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিষয় হলো, এদের এক-তৃতীয়াংশই ২০ বছরের কম বয়সী তরুণ-তরুণী।

বিশেষজ্ঞ ডেভিড উইলিয়ামস জানান, বিষাক্ত সাপ শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এদের দেখা মেলে পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোতেও। সাপের কামড়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলে। সাপের কামড়ে প্রতি বছর ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যেটি নিঃশব্দে ঘটে যাওয়া এক ভয়ংকর বিপর্যয়। খবর আনাদোলুর।

প্রতিবেদনটিতে ভারতের কথা আলাদাভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা গেছেন। প্রতি বছর গড়ে ৫৮ হাজার মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র সাপের কামড়ে।

তবে, সব সাপের কামড়ই যে মৃত্যুর কারণ হয় না, তা জানিয়ে উইলিয়ামস বলেন, ‘মৃত্যুর বাইরেও আছে অসংখ্য মানুষ যারা দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, কেউ কেউ হাত-পা হারাচ্ছেন, অনেকে আজীবন শারীরিক যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন।’

এই সমস্যা মোকাবিলায় অ্যান্টি-ভেনম সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলেও, দুর্ভাগ্যবশত, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতেই এর সংকট প্রকট। সাব-সাহারান আফ্রিকার মতো এলাকায় বার্ষিক প্রয়োজনের মাত্র ৩ শতাংশ অ্যান্টি-ভেনম পাওয়া যায়, যা এ সমস্যা মোকাবিলায় এক বড় চ্যালেঞ্জ।

উইলিয়ামস আরো সতর্ক করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিষাক্ত সাপের বিস্তার এবং মানুষের সঙ্গে তাদের সংস্পর্শ আরো বাড়বে। নতুন নতুন অঞ্চলে সাপের দেখা মিলবে, যেখানে মানুষ আগে কখনো এ ধরনের বিপদের মুখোমুখি হয়নি।

এই সংকটকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সবার জন্য সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এখন জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।