ঢাকা, শুক্রবার ১৮, অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৩৭:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাংলা একাডেমির সভাপতি পদ ছাড়লেন সেলিনা হোসেন বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ: ইউএনডিপি শেখ পরিবারের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, আঘাত হানতে পারে যেখানে ডিমের পর এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫২তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। বিজয় চূড়ান্ত হওয়ার মাত্র ৬ দিন পূর্বে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসায় সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন এ বীর যোদ্ধা।

এ উপলক্ষে আজ রোববার  বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যে সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে রুহুল আমিন একজন। ১৯৩৪ সালে বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রুহুল আমিন। মাতা জুলেখা খাতুন ও পিতা মোহাম্মদ আজাহার পাটোয়ারি। ৩ ভাই ও ৪ বোন নিয়ে ছিল তাদের পরিবার।

শিক্ষা জীবন শুরু করেন বাগপাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর ভর্তি হন আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৫১ সালে নৌ-বাহিনীতে নায়েক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন রুহুল আমিন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরে যুদ্ধরত রুহুল আমিন ছিলেন নৌ-বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘পলাশ’ এর প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার।

বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ছয় দিন পূর্বে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে খুলনা শীপইয়ার্ডের কাছে অধিনায়কের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ অমান্য করে রূপসা নদীতে বাংলাদেশের যুদ্ধজাহাজ পলাশকে রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায় শহীদ হন এ বীর। 

মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও মহান আত্মত্যাগের জন্য তাকে স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ পাঁচ সন্তান। বড় ছেলে বাহার ২৫ বছর আগে মারা যান। তার পরিবারের লোকজন সিলেটে বসবাস করছে বলে জানা যায়। ছোট ছেলে শওকত আলী (৫৭) ও তিন মেয়ে নূরজাহান বেগম (৬৬), রিজিয়া বেগম (৬০), ফাতেমা বেগম (৫৮)। 

এর মধ্যে তিন মেয়ে সবাই স্বামী-সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে সরকারের বরাদ্ধ দেয়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তারা সবাই শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। 

একমাত্র ছোট ছেলে শওকত ও তার স্ত্রী-মেয়ে নোয়াখালীর গ্রামে বাড়িতে থাকেন।