ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৯:১৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক, তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং সাংবাদিক গীতা মেহতা মারা গেছেন। তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং ব্যবসায়ী প্রেম পট্টনায়কের বড় বোন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী দিল্লির বাসভবনে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি।

১৯৪৩ সালে দিল্লিতে বিজু পট্টনায়েক এবং জ্ঞান পট্টনায়কের কোলে জন্মগ্রহণ করেন গীতা মেহতা। তিনি ভারতে এবং যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। গীতা ‘কর্মা কোলা’, ‘স্ন্যাক অ্যান্ড ল্যাডারস’, ‘আ রিভার সূত্র’, ‘রাজ’ এবং ‘দ্য ইটারনাল গণেশা’-সহ বহু বিখ্যাত বই লিখেছেন।

গীতা মেহতা ১৯৭০-৭১ সালে আমেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। আর তার সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তার বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’-এ বর্ণনা করেছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮০ বছর বয়সী গীতা মেহতা মৃত্যুকালে তার ছেলেকে রেখে গেছেন। আর তার প্রকাশক স্বামী সনি মেহতা আগেই মারা গেছেন।

গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। এক এক্স (টুইটার) বার্তায় মোদি বলেন, ‘প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতা জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী একজন ব্যক্তিত্ব, লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার জ্ঞান এবং আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।’

২০১৯ সালে রাজনৈতিক কারণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার পর গীতা মেহতা সর্বশেষ খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে এই সম্মান মানুষের মাঝে ভুল বার্তা দিতে পারে, তাতে ভারত সরকার এবং আমি দুজনেই বিব্রত হব, যা আমার পক্ষে আরও বেশি দুঃখজনক।’