ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৬, মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৭:১৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ব‌রিশা‌লে গ্রিন লাইন পরিবহনের চলন্ত বাসে আগুন ভাষানটেক বিআরপি বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে লাহোর রাজধানীর ভাষানটেকের বস্তিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে গাবতলীর বস্তির আগুন: পুড়ল দেড়শো ঘর, দুটি বাস

মুখরোচক খাবারে জমজমাট খুলনার ইফতার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৫ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মুখরোচক খাবারে জমে উঠেছে খুলনার ইফতার বাজার। ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভরে উঠেছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত। দুপুর থেকে মুসলমানরা ভিড় জমাচ্ছেন পাড়া-মহল্লার ইফতারির দোকানে। এসব দোকানে ইফতারের সময় পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।

বুধবার (৫ মার্চ) খুলনার দৌলতপুর, নতুনরাস্তা, নিউ মার্কেট, পিকচার প্যালেস, শিববাড়ী, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, ডাকবাংলো বাজার এবং ফেরিঘাট মোড় এলাকায় ইফতারি বিক্রি করার এমন চিত্র দেখা গেছে।

দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লার রাস্তা, সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বিকাল থেকে মাগরিব পর্যন্ত এসব দোকানে উৎসবমুখর পরিবেশে বেচাকেনা হচ্ছে হরেক রকমের মুখরোচক ইফতারি। দোকানগুলোতে পেঁয়াজু, বেগুনি, মাংসের চপ, সমুচা, আলুর চপ, মুড়ি-মুড়কি, ডিমের চপ, সবজি চপ, ছোলা ও হালিম, কাবাব, নান রুটি, পরোটা, রোল, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি, ফালুদা, লাচ্চি বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে ছোলা প্রতিকেজি ১৫০-১৬০ টাকা, পিয়াজু প্রতি পিস ৫-১০ টাকা, বেগুনি ৫-১০ টাকা প্রতি পিস, আলুর চপ পাঁচ টাকা, ডিমের চপ বড় প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা, চিকেন চপ প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা, চিংড়ি চপ প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা, শাহী জিলাপি প্রতিকেজি ১৮০-২০০ টাকা, রেশমি জিলাপি প্রতি কেজি ৩২০-৩৪০ টাকা, শাহী হালিম প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডাকবাংলো মার্কেট এবং নিউ মার্কেটের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুরো রমজান মাস জুড়ে বিপণি বিতান মার্কেটগুলোতে ঈদের বেচাকেনা ঘিরে জমজমাট থাকে। যার কারণে ব্যবসায়ীরা মার্কেটে একত্রে ইফতার করেন। এজন্য দোকান থেকে কেনা ইফতার সামগ্রীর ওপরে তাদের ভরসা করতে হয়।

চাকুরীজীবী আমিনুর রহমান বলেন, আমার ছোট পরিবার হওয়ায় বাজার থেকে ইফতার সামগ্রী বেশি কেনা হয়। বাসায় ইফতারি বানাতে গেলে সময় ও ব্যয় দুটোই বেশি হয়। তাই অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে ইফতারি নিয়ে যাই।

নিরালা এলাকার বাসিন্দা হাসিব হাসান বলেন, ইফতারি বাসায় বানানো হয়। তবে মাঝে মাঝে জিলাপি এবং হালিমের জন্য ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে আসতে হয়।

হাজী মহসিন রোডের বাসিন্দা হাবিবুল মোল্যা বলেন, ইফতার বানানোর সব জিনিসপত্রের দাম এখন অনেক বেশি। আমার ছোট পরিবার। ঈদের ১০ দিন আগেই পরিবারের সবাই গ্রামে চলে যায়। এজন্য বাসায় ইফতারের জন্য বাইরে থেকেই খাবার কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

ডাকবাংলো মোড়ের ইফতারি বিক্রেতা সাদেকুল আলম বলেন, ইফতারের জন্য বানানো পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ বেশি বিক্রি হয়। এজন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও প্রায় সবধরনের ইফতারির দাম ৫-১০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে।

নিউ মার্কেটের হালিম বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, কাস্টমারের ওপর ভিত্তি করে হালিম বিক্রি করতে হয়। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত হালিমের প্রতি বাটি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত হালিম বিক্রি হয় নিউ মার্কেট এলাকায়। সন্ধ্যার পর অনেক ভিড় হয়। এছাড়াও ইফতারের আগে পার্সেল বেশি বিক্রি হয়।