ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ৯:৫০:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

মেহেরপুরের কোরবানির হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ছোট, বড় আর মাঝারি গরুর সমাহারের মধ্য দিয়ে জমতে শুরু করেছে মেহেরপুরের কোরবানির পশুরহাট। রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্রগ্রাম থেকে আসছেন গরুর ব্যাপারিরা। তাদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে কোবানির পশু কিনছেন স্থানীয় ক্রেতারা।

শুক্রবার (১৬ জুন) বামন্দী-নিশিপুর পশুরহাটে গরুর সমাহার হলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা ছিল না। অন্যদিকে দেশে পর্যাপ্ত গরু আছে দাবি করে বাইরে থেকে গরু আমদানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যাপারি ও খামারিরা।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার মধ্যে যে কয়টি বড় পশুরহাট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বামন্দী-নিশিপুর পশুহাট। সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার এখানে পশুরহাট বসে। প্রতি হাটের স্বাভাবিক বেচাকেনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। মেহেরপুর জেলা ছাড়াও কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনাসহ আশপাশের জেলা থেকে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ আসছে এই হাটটিতে। হাটের প্রবেশপথের আশেপাশের এক কিলোমিটার জুড়ে গরু বাহনের যানের ভিড়। হাটের মধ্যে ব্যাপারিদের হাকডাক আর সাধারণ ক্রেতাদের গরু পছন্দের প্রতিযোগিতা। গরু ছাগলের আকার অনুযায়ী দরদাম করছেন ক্রেতা ও পশু মালিকরা।

গেল বছরের মতো এবারও এ হাটটিতে পাওয়া যাচ্ছে ছোট, বড় আর মাঝারি আকারের গরু। এর মধ্যে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ব্যক্তিগত কিংবা দলগত কোরবানির জন্য বেড়েছে মাঝারি আকারের গরুর কদর।

এদিকে শুক্রবারের হাটে জেলা ছাড়াও বাইরের অনেক জেলার গরু আমদানি হয়েছিল। তবে কাঙ্খিত ক্রেতার দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকে। গরুর দাম নিয়ে স্থানীয় ব্যাপারি আর বাইরের ব্যাপারিদের কথার মধ্যে ভিন্নমত লক্ষ্যণীয়।

চট্রগ্রাম থেকে আসা ব্যাপারি আনোয়ার হোসেন  জানান, আজকের বাজার অনেক চড়া। এখানে যে দাম হাকা হচ্ছে তাতে সুবিধা হচ্ছে না। কারণ চড়া দামে কিনে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে অনেক খরচ রয়েছে। তাই কাঙ্খিত পরিমাণ গরু না কিনেই ফিরে গেছেন অনেক ব্যাপারী।

স্থানীয় ব্যাপারি ইখলাছ হোসেন জানান, গ্রাম থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতি মণ মাংস আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা হিসেবে গরু কেনা হচ্ছে। অথচ হাটে এসে কেনা দামই পাচ্ছেন না তারা। ফলে অনেক ব্যাপারি গরু না বেচে বাড়ি ফিরে গেছেন। আগামী দিনের হাটে ভাল দামের প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় ব্যাপারি ও খামারীরা।

কয়েকজন খামারী জানান, গেল এক বছরে গো-খাদ্যের ব্যাপক দর বৃদ্ধিতে গরু পালন খরচ বেড়েছে। কিন্তু গরু বিক্রি করতে গিয়ে সেই দাম উঠছে না। এর মধ্যে যদি বাইরে থেকে গরু আনা হয় তাহলে খামারিদের পথে বসতে হবে।

এদিকে হাটের সার্বিক নিরাপত্তায় হাট মালিকদের নিজস্ব ব্যবস্থার পাশাপাশি র‍্যাব পুলিশের টহল রয়েছে।

বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল হোসেন  জানান, পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নজরদারি করছেন পুলিশ সদস্যরা। হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা।

কোরবানির এই পশুরহাট সপ্তাহে দুইদিন করে চলমান থাকবে ২৬ জুন পর্যন্ত। আগামী হাটগুলোতে কাঙ্খিত দর পাওয়ার মধ্য দিয়ে হাট আরও জমজমাট হবে বলে আশা প্রকাশ করলেন হাট ইজারাদার আমিরুল ইসলাম শেখ।