ঢাকা, সোমবার ১৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৩:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র ‘দুর্গা’ উমা দাশগুপ্ত ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ গাইবান্ধায় নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে হেভিওয়েট ১৩ আসামিকে

রানী ময়নামতির বাংলো

আজম বেগ | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১১:২০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৮ শুক্রবার

এই প্রত্নতত্ত্ব কেন্দ্রটি লালমাই-ময়নামতি পাহাড় শ্রেণীর সর্ব উত্তর প্রান্তে বিচ্ছিন্ন একটি পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত। সমতল ভূমি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫.২৪ মিটার। স্থানীয়ভাবে এটি রানী ‘ময়নামতি প্রাসাদ’ নামে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে এখানে খননকাজ শুরু করা হয়। খননের ফলে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের চারটি নির্মাণ যুগের স্থাপত্য কাঠামো উন্মোচিত হয়েছে।

 

প্রথম নির্মাণ যুগে একটি ক্রুশাকার মন্দির ছিল। পরবর্তীতে, ক্রুশাকার মন্দিরকে পরিত্যক্ত করে ২য়, ৩য়, এবং ৪র্থ নির্মাণ যুগে ক্রমান্বয়ে ছোট আকারের পূর্বমূখী আয়তাকার মন্দির নির্মাণ করা হয়। খননের সময় এখান থেকে বেশ কিছু পোড়ামাটির ফলক এবং অলংকৃত ইট আবিষ্কৃত হয়েছে। স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য ও প্রত্নসম্পদের বিশ্লেষণে এটি ৮ম থেকে ১২শ শতকের প্রাচীন কীর্তি বলে অনুমিত হয়। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পূর্ব পাশে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাণী ময়নামতির প্রাসাদ।


কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ময়নামতি সাহেবের বাজার এলাকায় প্রাসাদটির অবস্থান। হাজার বছর পূর্বে এই এলাকায় এক রাজার বসবাস ছিল। আর তার স্ত্রী অর্থাৎ তার রাণীর নাম ছিল ময়নামতি। তৎকালীন আমলে রাণী ময়নামতির আরাম আয়েশের বাংলো ছিল এটি। রাণী ময়নামতির নামে এলাকার নামকরণ করা হয় ময়নামতি। প্রাসাদের চূড়ায় অবস্থিত সাইনবোর্ডের লিখিত বিবরণ থেকে জানা যায়, এই প্রত্নতত্ত্ব কেন্দ্রটি লালমাই-ময়নামতি পাহাড় শ্রেণির সর্ব উত্তর প্রান্তে বিচ্ছিন্ন একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। সমতল ভূমি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫.২৪ মিটার। স্থানীয় ভাবে এটি রাণী ময়নামতি প্রাসাদ নামে পরিচিত। প্রথম নির্মাণ যুগে একটি ক্রশাকার মন্দির ছিল।

 

পরবর্তিতে ক্রশাকার মন্দিরকে পরিত্যক্ত করে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ নির্মাণ যুগে ক্রমান্বয়ে ছোট আকারের পূর্বমুখী আয়তাকার মন্দির নির্মাণ করা হয়। খ্রি: ১৯৮৮ সালে এখানে খনন কাজ শুরু করা হয়। খননের ফলে একটি বৌদ্দ মন্দিরের ৪টি নির্মাণ যুগের স্থাপত্য কাঠামো উন্মোচিত হয়েছে। খননের সময় এখান থেকে বেশ কিছু পোড়ামাটির ফলক ও অলংকৃত ইট আবিষ্কৃত হয়েছে। স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট ও প্রত্নসম্পদের বিশ্লেষণে এটি ৮ম থেকে ১২শ শতকের প্রাচীন কীর্তি বলে ধারনা করা হয়। এখানে বছরের পর বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীদের লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি ৭ বৈশাখ থেকে মাসব্যাপী বড় পরিসরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করে। এছাড়া এ ঐতিহ্যবাহী স্থানটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আগত অসংখ্য দর্শনার্থী প্রতিদিন ভিড় জমায়।