ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৫:১৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে

রামগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে সৎমায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৬ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তিন বছরের শিশু আহমেদকে লাথি মেরে হত্যার দায়ে সৎ মা কোহিনুর বেগম (২৬)কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।  

কোহিনুর রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে। মামলার বাদী মিরন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়চৌ গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত কোহিনুর বাদী মিরনের দ্বিতীয় স্ত্রী।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষিপ্ত হয়ে সৎ মা কোহিনুর বেগম শিশু আহমেদকে লাথি মারলে সে মারা যায়। পরে মরদেহ বসতঘরের মাটিতে পুঁতে রাখে সে।

আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলার সময় থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মিরন ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করেন। পরিবারিক কলহে প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আহমেদ তার প্রথম সংসারের ছেলে। কিছুদিন পর মিরন রামগঞ্জের বাসিন্দা কোহিনুরকে বিয়ে করেন। শিশু আহমেদসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

২০২২ সালের ২২ জুলাই স্ত্রী-সন্তানকে রেখে তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান। ১০ আগস্ট আহমেদকে নিয়ে কোহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তার বাবার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ২৭ আগস্ট কোহিনুর তার স্বামীর বাসায় আসেন। 

এরপর কোহিনুর তার স্বামী মিরনকে জানান, আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইদিন ঢাকা থেকে এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলেকে পাননি। এতে ২৮ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। 

পরদিন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বাসায় গিয়ে কোহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ গুমের বিষয়টি স্বীকার করেন।  

কোহিনুর পুলিশকে জানান, ২৬ আগস্ট রাত ২টার দিকে শিশু আহমদের পেটে লাথি দিলে সে মারা যায়। পরে দা দিয়ে খাটের নিচে গর্ত করে তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে।

তার স্বীকারোক্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৯ আগস্ট বিকালে দরবেশপুর এসে কোহিনুরের বাবার বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচে পুঁতে রাখা আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে। এদিন মিরন বাদী হয়ে কোহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  

একই বছর ৩০ অক্টোবর রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আদালতে আসামি কোহিনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।