ঢাকা, শুক্রবার ২৪, জানুয়ারি ২০২৫ ৩:০৯:৫৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন যারা উদ্যোক্তামুখী সমাজ নির্মাণে তরুণদের বিকল্প নেই: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে গির্জা-হাসপাতালেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে অভিবাসীরা চুরির অর্থ ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে হুমকি, শাহজালালে নিরাপত্তা জোরদার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছে ভারত

লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষে অর্থনৈতিক বিপ্লব

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগরপাড়া গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক চাষি লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে বদলেছেন নিজেদের ভাগ্যের চাকা। প্রায় এক যুগ আগেও লবণাক্ততার কারণে ধান চাষে লোকসানের মুখে থাকা এই গ্রাম এখন পরিচিতি পেয়েছে ‘সবজি গ্রাম’ নামে। ফেলে রাখা এসব জমিতে বছরজুড়ে এখন সম্মিলিত ভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি ফলাচ্ছেন তারা। বর্তমানে এখান থেকে বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকার সবজি বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথমে স্থানীয় কৃষক শাহাদাত মাতুব্বরের উদ্যোগে শুরু হয় সবজি চাষ। তার সফলতা দেখে ধীরে ধীরে গ্রামের অধিকাংশ চাষিই সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বর্তমানে প্রায় ৬৫০ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শিম, করলা, শসাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন তারা। তাদের দেখাদেখি বর্তমানে এ গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ জমিতেই এখন সবজি চাষ হয়। এতে একদিকে চাষিদের অর্থনৈতিক জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। অপরদিকে বেকার অনেকেরই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।


লবণাক্ত জমিতে সবজি চাষে অর্থনৈতিক বিপ্লব

তালতলীর সবজি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চলছে কৃষকদের ব্যস্ততা। যতদূর চোখ যায় শুধু শিম গাছ। বেট কেটে মাটি উঁচু করে মাচা পদ্ধতিতে বিশেষ পরিচর্যায় লাগানো প্রতিটি গাছেই ঝুলছে প্রচুর ফুল ও শিম। চাষিদের পাশাপাশি অনেক বেকার নারী-পুরুষ দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে শিম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব জমিতে এক ধরনের সবজি চাষ করায় বোঝার উপায় নেই কোনটি কার জমি। সাধারণ মানুষ না বুঝলেও যার যার জমিতে কাজ করছেন সবাই। প্রতিদিন শিম তোলার পর বস্তায় ভরে স্থানীয় পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রির জন্য পৌঁছে যায় বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

স্বামীর সঙ্গে সবজি চাষে সমানভাবে কাজ করছেন নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ‘আগে ধান চাষ করতাম। ধান চাষে তেমন লাভ হয়নি। গ্রামের একজনকে সবজি চাষ করতে দেখে ৫০ হাজার টাকায় জমি কিনে সবজি চাষ শুরু করি। এ বছর এক মৌসুমে সবজি ক্ষেত থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকার করলা ও শসা বিক্রি করেছি। এখন ক্ষেতে শিম গাছ আছে। প্রতিদিন বিকেলে পাইকাররা তোলা শিম দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। সপ্তাহ অন্তর তারা বিক্রির টাকা আমাদের বুঝিয়ে দেন। বর্তমানে সবজি চাষ করে আগের তুলনায় ভালোই লাভবান হচ্ছি।’

চাষিদের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘তিনি একসময় নদীতে মাছ ধরতেন। সবজি চাষে সফলতা দেখে জমি বায়না করে সবজি চাষ শুরু করেন। বর্তমানে লাভের টাকা দিয়ে গরু কিনেছেন। সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জীবনযাপন করছেন।

একই গ্রামের চাষি নাজনীন বেগম বলেন, ‘একসময় ধান চাষ করলেও আয় কম ছিল। সবজি চাষে লাভ দেখে জমি কিনে শিম ও অন্য সবজি চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার বড় ছেলে মাস্টার্স পাস করেছেন। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে।’