ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১:৫৩:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

লেখার স্বাধীনতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দেশে লেখার স্বাধীনতা ও লেখা প্রকাশের স্বাধীনতা দিন দিন খর্ব হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সৃজনশীল লেখালেখি সর্বত্র ভিন্নমতের বক্তব্য ও লেখার প্রতি নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে লেখকের স্বাধীনতা হরণ করা চলছেই। লেখা প্রকাশের স্বাধীনতা হরণে নানা আইন তৈরি করা হচ্ছে। সম্মিলিতভাবে এগুলোর প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।

শনিবার রাজধানীর বাংলামটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বঙ্গীয় সাহিত্য সভার আয়োজনে ‘লেখার স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, লেখক ফরহাদ মজহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম, কবি চঞ্চল আশরাফ, লেখক ও রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ফিরোজ আহমেদ, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, কবি সাখাওয়াত টিপু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, একজন লেখক যখন লিখতে বসেন, তখন তিনি দেশের বর্তমান বাস্তবতায় তার সেরা লেখাটি লিখতে পারেন না। লিখতে বসার আগে হাজারবার চিন্তা করতে হয়। লেখা হয়ে গেলে লেখাটি প্রকাশ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে পরের ভাবনা হাজির হয়। লিখতে পারলেও লেখা প্রকাশের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। 

তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে তিনটি বই প্রকাশের জন্য আদর্শ প্রকাশনাকে বইমেলায় স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার উদাহরণ তুলে ধরেন। আইন করে লেখকের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


কবি ফরহাদ মজহার বলেন, একজন লেখক হিসেবে আমি আমার লেখাটা লিখতে চাই। এজন্য আমাকে মেরে ফেলা হলেও তা থেকে সরিয়ে আনা যাবে না। ভয় পাওয়া চলবে না। ভয় দেখাতে চাইলে আমরা যদি ভয় না পাই, তাহলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে।

অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ভিন্নমতের সবাই এক মঞ্চে বসা যাবে না, এ ধরনের বিভক্তি সবসময়েই ছিল। এতে করে ক্ষমতাসীনরা বা সুবিধাভোগী গোষ্ঠীরা লাভবান হয়। তাই নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে অন্তত আমরা যাতে এক হতে পারি সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বঙ্গীয় সাহিত্য সভা ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন লেখক মোশাহিদা সুলতানা, চিকিৎসক ও লেখক সায়ন্থ সাখাওয়াৎ, আদর্শ প্রকাশনার সিইও মাহাবুব রহমান, যুব পরিষদের সেক্রেটারি নাদিম হাসান, সংগঠক ও রাজনৈতিক কর্মী আরিফুল ইসলাম আদীব। বঙ্গীয় সাহিত্য সভার আহ্বায়ক কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ ও সদস্য সচিব এহসান মাহমুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গীয় সাহিত্য সভার কার্যকরী সদস্য কথাসাহিত্যিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র।