শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ২৭ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার ২৬ জুন।। ১৯৯৪ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ছেলে শফি ইমাম রুমী শহীদ হন। এছাড়া তার স্বামী শরীফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মারা যান।
একাত্তরে স্বামী-সন্তানহারা এই মা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। তার নেতৃত্বেই ২৩ বছর আগে ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল। বহু ঘাতপ্রতিঘাত অতিক্রম করে আজ তা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। তার একাত্তরের দিনলিপি নিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’তে একজন মুক্তিযোদ্ধার মায়ের দৃঢ়তা, ত্যাগ ফুটে উঠেছে, যা তাকে দেশের মানুষের কাছে এক চির সম্মানের আসনে পৌঁছে দেয়।
১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমির ঘোষণা করলে বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। তিনি ওই কমিটির আহ্বায়ক হন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্রসংগঠন, প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি। এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জাহানারা ইমাম। তার নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণ-আদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার সম্পাদন করা হয়। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণ-আদালতের চেয়ারম্যান শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। তার এই বিচারের পর দেশব্যাপী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা জেলজুলুম সহ্য করে তিনি এই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তার ক্যান্সার আরও বেড়ে যায়। আমেরিকায় চিৎকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়। ত্রিশ ও চল্লিশ দশকের রক্ষণশীল বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় তার। তার বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা সৈয়দা হামিদা বেগম।
১৯৪২ সালে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাশ করে ১৯৪৫ সালে ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড শেষ করে ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করেন ।=
তিনি তার কর্মজীবনে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
- চুরি করা শিশুসহ রাজবাড়ীতে এক নারী আটক
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা আইনের শাসনের অবমাননা: প্রেস উইং
- ফেসবুকে লুট করা জুতা বিক্রির পোস্ট, আটক ১৪
- ছুটি শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু, মাধ্যমিক খুলবে বুধবার
- লঘুচাপের নতুন তথ্য, বৃষ্টি ও গরম নিয়ে নতুন বার্তা
- ঢাকায় আসছেন ট্রাম্পের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ফিলিপাইনের
- মার্চে ৪৪২ নারী নির্যাতনের শিকার, ধ*র্ষ*ণ ১৬৩
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত
- ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
- প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক দিলো বাংলাদেশ
- অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা আর নেই
- কোকাকোলা বিক্রি করায় কেএফসিতে ভাঙচুর, বাটায় হামলা
- ইউটিউব দেখে স্ট্রবেরি চাষ, এক মৌসুমে আয় ৩০ লাখ টাকা
- হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বটগাছ
- ‘উইমেন ফর উইমেন,এ রিসার্চ এন্ড স্টাডি গ্রুপ’এর বার্ষিক সভা
- বইমেলায় আইরীন নিয়াজী মান্নার ছড়ার বই ‘টুটুলের কাছে চিঠি’
- মিষ্টি আলুর হালুয়া রেসিপি
- খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- অভিনেত্রী শাওন ও সাবাকে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি
- বনানীতে শেখ সেলিমের বাসায় আগুন
- লন্ডনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল
- নিরুপায় বাফুফে, ঘোর সংকটে নারী ফুটবল
- ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন ২০২৫ উদ্বোধন
- রোজার ঈদের পর দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
- যুক্তরাষ্ট্রে নারী নেত্রীদের সঙ্গে জায়মা রহমানের বৈঠক
- শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ
- শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়
- জাতীয় নাগরিক পার্টির ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
- মাঠে ফিরছেন বিদ্রোহী সাবিনারা