ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৬:১৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে

শিকারির নজরে দেখে মানুষজন : মিয়া খলিফা

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪৭ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

নীল সিনেমার জগতে জনপ্রিয় তারকা ছিলেন মিয়া খলিফা। ২০১৪ সালে অন্ধকার এই দুনিয়ায় পা রাখার পরই বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান তিনি।

কিন্তু সেই পরিচয় তার জন্য মোটেও সুখের হয়নি। নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা ও বিড়ম্বনার শিকার হয়ে একটা সময় নিজেকে পর্ন জগত থেকে সরিয়ে নেন মিয়া। 

২০১৪ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই পর্ন জগতে পা রেখেছিলেন এই তারকা। মিয়া খলিফার জন্য সেই অভিজ্ঞতা ছিল খুবই ভয়ানক।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নীল সিনেমার এই জগতে আসার বয়স কিছুতেই ১৮ হতে পারে না। কারণ এখানে শিকারির মতো ওৎ পেতে থাকে মানুষজন। সারা জীবনের জন্য চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সেটাই ভয়ংকর একটা বিষয়। কারণ ওই বয়সে অনেকেরই বোঝার ক্ষমতা থাকে না, এই জগতটা আসলে কেমন। 

মিয়া তিন মাসেই বুঝে গিয়েছিলেন অন্ধকার দুনিয়ার চিত্র। তাই হাজার কষ্ট সত্ত্বেও সেই জগত ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি।

নীল সিনেমার দুনিয়া ছাড়ার পর মিয়া খলিফা হয়েছেন সারা জোনাস। ছোট্ট একটা ঘরে দিন পার করতে হয়েছে তাকে। যেখানে জানলার কাঁচ পর্যন্ত ভাঙা ছিল। বাথরুম আর রান্নাঘরের সিঙ্ক একটাই ছিল। 

এরপর অস্টিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মিয়া। সেখানে একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি নেন তিনি। কিন্তু অতীত সেখানেও পিছু ছাড়েনি। যার ফলে চাকরি ছেড়ে আবার কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে যোগদান করেন। তবুও দৃশ্যপটের বদল ঘটেনি।

মিয়া জানান, তিনি যেন কোম্পানির বোঝা হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কারো কিছু করার ছিল না। ধীরে ধীরে নিজের মাটি শক্ত করেন। কারণ ছোট থেকেই নানা বৈষম্যে অভ্যস্ত এই তারকা। 

লেবাননে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মিয়া খলিফার। পরিবারে তিনিই নাকি সবচেয়ে কালো ছিলেন। স্কুলেও এ নিয়ে কথা শুনতে হতো তাকে। ধীরে ধীরে সমস্ত বৈষম্য, ঘৃণা কাটিয়ে ওঠেন। নিজের মতো বাঁচতে শুরু করেন।