ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:০৫:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করতে চান নাতালিয়া-হাবিব

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় মিক্স দম্পতি বাংলাদেশি হাবিব ও বেলারুশের নাতালিয়া। প্রতিদিন এই দম্পতির সাংসারিক খুনসুটি, বিনোদন, ঘুরে বেড়ানো, শপিং, ফ্যাশনসহ মজার মজার ভিডিও দেখছে লাখ লাখ মানুষ।

বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজলার সন্তান হাবিবুর রহমান পেশায় একজন প্রকৌশলী। ২০১২ সালে জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে মাস্টার্স করার জন্য যান। বর্তমানে তিনি জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সাল্টিং ফার্মে ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। আর বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের কাছাকাছি শহর বাবরুস্কের মেয়ে নাতালিয়া রহমান। তিনি পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট। 

বায়ার্ন মিউনিখের স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট জব করতে গিয়ে প্রথম পরিচয় হয় নাতালিয়া ও হাবিবের। দেখা থেকে প্রণয়। ২০১৭ সালে ধর্মীয়ভাবে বিয়ের পর আবার ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জার্মানির নিয়মনীতি মেনে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে কর্মসূত্রে এই দম্পতি জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি অঙ্গরাজ্যের কেমনিজ শহরে থাকেন। তাদের সংসারে নাদিয়া নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

এদিকে ২০২০ সালের অক্টোবরের শেষে শখের বশেই ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব-দ্য মিক্স ম্যাচ ফ্যামিলি’ নামে ইউটিউব চ্যানেল ও ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব’ নামে ফেসবুক পেজ খোলেন তারা। নিত্যদিনের কাজ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক বার্তামূলক ভিডিও তৈরি করে সেখানে পোস্ট করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তাদের অনুসারী বাড়তে থাকে। তাদের নিত্যদিনের খুনসুটির পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতামূলক সব ভিডিও এই পেজ ও চ্যানেলের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে লাখ লাখ মানুষের কাছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন নাতালিয়া-হাবিব দম্পতি। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো নাতালিয়া স্বামী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাঁটছেন আর ভাঙা বাংলায় সবার সঙ্গে কথা বলছেন নাতালিয়া। এ সময় কথা হয় সঙ্গে।

গ্রাম সম্পর্কে অসাধারণ অনুভূতি প্রকাশ করে নাতালিয়া বলেন, ঢাকা শহরে অনেক গাড়ি, অনেক বাড়ি। গাড়ির শব্দে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। গ্রামটা অনেক সুন্দর। এখানে একটা ভালো ঘুম হবে। বাংলাদেশকে ও গ্রামকে ভালোবাসি।

তিনি আরও বলেন, আমাকে পরিবারের সবাই প্রিন্সেসের মতো ট্রিট করছে। সবাই খুব দ্রুত আমাকে আপন করে নিয়েছে। আমাদের বেলারুশের গ্রামগুলো অনেক ছোট। তাই এভাবে উপভোগ করতে পারি নাই। এখানে সবার ব্যবহারে আমি মুগ্ধ।

নাতালিয়া কাজ করতে চান এদেশের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুদের জন্য। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশে অনেক পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু রয়েছে যাদের শিক্ষার সুযোগ করে দিলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। আমরা তাদের জন্য সহজ শিক্ষামূলক ভিডিও বানাব।

নাতাশা রহমানকে দেখতে এসেছেন মো. সেলিম হোসেন নামে এক প্রতিবেশী। তিনি বলেন, হাবিবের বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশে। শুনেছি তাদের বাড়িতে বিদেশিনী আসছে। তাই বিদেশি বউকে দেখতে এসেছি। দেখে মনে হয়নি তাদের বাড়ি বিদেশ। আমাদের দেশের মানুষের মতো বাংলায় কথা বলে এবং সবার সঙ্গে মিশছে।

আরেক প্রতিবেশী ছালেহা বেগম বলেন, তার ব্যবহার খুব অমায়িক। আমাদের পাশে বসে কথা বলেছে এবং পরিচিত হয়েছে। আচরণ দেখে আমরা খুব অবাক হয়েছি। মনে হয়েছে যেন দেশের বউ।

হাবিবুর রহমানের বড় ভাই লায়ন আজহার মাহমুদ বলেন, নাতালিয়া বিদেশে মানুষ হলেও আমাদের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে গেছে।আমার ভাই হাবিব তাকে আগে থেকেই সব কিছু শিখিয়ে নিয়েছে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে সহজেই সে মিশে গেছে। এটা খুবই ভালো লাগছে।