ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪০:৩৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মহাকাশচারীদের নিয়ে উপন্যাস ‘অরবিটাল’ লিখে বুকার জিতলেন হার্ভে জাতীয় সংসদে কোনো সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে না রাষ্ট্র সংস্কারই এই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮, বাড়ছে শীতের প্রকোপ আজ ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভারতে হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু ডাকাতির সময় নিয়ে যাওয়া শিশু মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার

শীতে খুসখুসে কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঋতু পরিবর্তনের কারণে শীতে বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দেয়। গরম থেকে ঠাণ্ডা অনেকের শরীর নিতে চায় না। ফলে একটু এদিক-ওদিক হলেই সর্দি ও খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে। অনেকেই খুসখুসে কাশির কারণে সারারাত ঘুমাতে পারেন না। এই সময়ে কাশির সঙ্গে গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টও হতে পারে।

তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও কাশির সমস্যা তৈরি হতে পারে। একটানা খুসখুসে কাশি বিরক্তিকর। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেঁধে ভয়ানক কাশিও হয়।

প্রাথমিক শুশ্রূষার পর সর্দি জ্বর কমে গেলেও অনেকসময় যেতে চায় না জেদি কাশি। সারাক্ষণ গলার কাছে একটা খুসখুসে ভাব লেগেই থাকে। শীতকালীন কাশির এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে কীভাবে নেবেন সুরক্ষা?

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে দুই চা চামচ মধু, আধ চা চামচ লেবুর রস আর সামান্য পরিমাণ আদার রস মিশিয়ে দিনে অন্তত এক থেকে দুইবার খেলে কাশি কমে যাবে।

কাশি দূর করতে আদার টুকরোর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ অন্তর খেলে কমতে পারে কাশি।

সারাদিনে বার দুয়েক মধু খেলেও কাশি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

গার্গল করলে শুধু মাথাব্যথা নয়, কাশিও কমে। এক গ্লাস গরম পানিতে আধ চিমটে লবণ মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। কাশি কমাতে দ্রুত সাহায্য করবে।

গরম পানিতে দিয়ে গার্গেল করা ছাড়াও কাশি হলে রাতে শুতে যাওয়ার আগে একগ্লাস গরম পানিতে পান করলে আরাম হয়।

গলায় খুসখুসে ভাবের সঙ্গে কাশি হলে গরম দুধের সঙ্গে অল্প হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। নিমেষে দূর হবে কাশি।

সম পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম গরম এই পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এছাড়া পেঁয়াজের ছোট টুকরো খেতে পারেন। ফলে দ্রুতই কফ থেকে আরাম পেতে পারবেন।

সর্দি, কাশি দূর করতে তুলসি পাতার রস খুবই উপকারী। শিশুদের জন্য কয়েকটি তাজা তুলসি পাতার রসের সঙ্গে একটু আদার রস ও মধু দিয়ে খেলে খুব উপকার পাবেন। তুলসি পাতা শুকনো কাশির জন্য খুবই কার্যকরী। সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি তুলসি পাতা খেতে পারেন। তা ছাড়া তুলসি পাতা ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন।

হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সাথে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। অনেক উপকার পাবেন।

ভিনেগারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সাথে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয়টি দিনে দুই তিনবার পান করুন। এক দুই সপ্তাহ পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।