ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ৮:০৩:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

শুটিং ফেলে চলে গেছেন সায়ন্তিকা, জায়েদ বললেন গুজব

বিনোদন ডেস্ক  | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নৃত্য পরিচালক মাইকেলের অধীনে কাজ করবেন না জানিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকার সিনেমায় অভিনয় করতে এসে শুটিংয়ের মাঝপথেই কলকাতায় ফিরে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন নির্মাতা তাজু কামরুল। তবে সায়ন্তিকার চলে যাওয়ার বিষয়টি গুজব বলে জানিয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। একটি চক্র ইচ্ছা করেই এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে মন্তব্য করেন তিনি।

জানা গেছে, তাজু কামরুলের পরিচালনায় ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করতে গত ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। সেদিন বিকেলেই নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে শুটিং করতে চলে যান কক্সবাজারে। কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার। গান দিয়ে শুরু হয় কাজ। নির্বিঘ্নেই শেষ হয় প্রথম গানের শুটিং। দ্বিতীয় গানের শুটিং চলাকালীন হঠাৎ করেই সায়ন্তিকা অভিযোগ করেন নৃত্য পরিচালক মাইকেলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, পরিবর্তন করতে হবে নৃত্য পরিচালক, অন্যথায় কাজ করবেন না তিনি। কিন্তু মাইকেলকে দিয়েই কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত জানান প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তাই, শুটিং না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে কলকাতায় ফিরে যান সায়ন্তিকা।

নৃত্য পরিচালক মাইকেল বলেন, প্রথম গানের শুটিং শেষ করে দ্বিতীয় গানের শুটিং করছিলাম আমরা। নাচের স্টেপ দেখানোর জন্য সায়ন্তিকার হাত ধরতেই তিনি বলেন, হাত ধরো না, মুখে বুঝিয়ে দাও। আমি কথা না বাড়িয়ে সেভাবেই তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে আমার সঙ্গে তার কোনো তর্কবিতর্কও হয়নি। কাজ শেষে পরিচালক ও প্রযোজককে সায়ন্তিকা জানান, আমি থাকলে তিনি কাজ করবেন না। পরদিন স্পটে এসে গাড়ি থেকেই নামতে চাইছিলেন না তিনি। পরিচালক আমাকে বুঝিয়ে বললে আমি মনিটরে বসে ছিলাম। পরিচালক আমার সঙ্গে কথা বলে দৃশ্যগুলোর শুটিং করেন। রাতে পরিচালক ও প্রযোজক সায়ন্তিকাকে জানান, আমার সঙ্গেই বাকি কাজ করতে হবে। পরদিন সকালে সায়ন্তিকা চলে যান। আমাদের ১২ তারিখ পর্যন্ত শুটিং করার কথা থাকলেও ৭ তারিখেই প্যাকআপ করে চলে আসতে হয়। আমার সঙ্গে সায়ন্তিকার কী সমস্যা বুঝতে পারছি না। তার সঙ্গে আগে কখনও কাজ হয়নি। এমনকি এই প্রথম তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে।


প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় গানের শুটিংয়ের সময় সায়ন্তিকা অভিযোগ জানান, নৃত্য পরিচালক মাইকেল নাকি তার হাত ধরেছেন। সিনেমা থেকে মাইকেলকে বাদ না দিলে তিনি কাজ করবেন না। খোঁজ নিয়ে জানলাম, মাইকেলের দোষ নেই। কাজের স্বার্থেই সায়ন্তিকার হাত ধরেছিলেন তিনি। তাই, সায়ন্তিকাকে জানালাম মাইকেলের সঙ্গেই তাকে কাজ করতে হবে। না হলে কাজ করার প্রয়োজন নেই। পরদিন সকালে সায়ন্তিকা সেট ছেড়ে চলে যান। আমি আমার কথায় এখনো অনড়। কাজ করতে হলে মাইকেলের সঙ্গেই করতে হবে। আমার দেশের শিল্পীদের ছোট করে আমি কোনো কাজ করতে চাই না। এতে আমার ক্ষতি হলেও সমস্যা নেই।


সায়ন্তিকা না এলে অন্য নায়িকা নিয়ে কাজটি করা হবে কি না, জানতে চাইলে প্রযোজক জানান, সায়ন্তিকা যদি মাইকেলের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে রাজি হন, তাহলে আবার শুরু হবে কাজ। অন্যথায় নয়। অন্য কাউকে নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা করছি না। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে নায়ক-নায়িকা পরিবর্তন করে সিনেমার কাজ করতেও পারি।