ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৭:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

শেরপুরে খ্রিস্টানদের দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী বারোমারি ধর্মপল্লীতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। 

পাপ স্বীকার ও খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে শুরু হবে বার্ষিক এ তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এতে পৌরহিত্য করবেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি। 

তীর্থোৎসব উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা। 

১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর বারোমারি ধর্মপল্লীতে ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গমেজ ১৯৯৮ সালে ‘ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেন। 

এখানে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয় ‘ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান’। সেই থেকে খ্রিস্টমন্ডলীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর ভিন্ন-ভিন্ন মূলসুরের উপর ভিত্তি করে অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থোৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। 

এবার ২৬ তম তীর্থোৎসবে মুলসূর নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সিনোদিও মন্ডলীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কাজে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’।

আজ বিকেলে খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে রাতে তীর্থস্থানের উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলার আড়াই কিলোমিটার পথে জলন্ত মোমবাতি হাতে খালি পায়ে ধর্মীয় বাণী উচ্চারণ করে খ্রিস্টভক্তরা আলোক শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। রাতব্যাপী মা মারিয়ার ৪৮ ফুট উঁচু মূর্তির সামনের চত্বরে হবে সাক্রামেন্টের আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান। 

আগামীকাল শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ শেষে দুপুরে মহাখ্রিস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। 

তীর্থস্থান পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম জানিয়েছেন, এটা এ অঞ্চলের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এখানে বাইরে থেকেও কয়েক হাজার খ্রিস্টভক্ত তীর্থযাত্রী অংশ নেবেন। সকলের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। নেওয়া হয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।