ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪৩:১০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মহাকাশচারীদের নিয়ে উপন্যাস ‘অরবিটাল’ লিখে বুকার জিতলেন হার্ভে জাতীয় সংসদে কোনো সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে না রাষ্ট্র সংস্কারই এই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮, বাড়ছে শীতের প্রকোপ আজ ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভারতে হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু ডাকাতির সময় নিয়ে যাওয়া শিশু মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার

শেরপুরে শিলাবৃষ্টিতে ৫শ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শেরপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৫শ হেক্টর জমির ফসল ও বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে জেলা সদরসহ ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় এই ঝড়। এ ছাড়া বো‌রো, শাক-সব‌জি ও গাছপালারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রীবরদী উপ‌জেলার মা‌টিয়াকুড়া, গিলাগাছা, কুরুয়া, ধাতুয়া, শেখ‌দি ও কু‌ড়িকাহ‌নিয়াসহ বেশ ক‌য়েক‌টি এলাকা।

জেলা সদরের কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, শিলাবৃষ্টির আঘাতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। অন্যদিকে নিচু এলাকায় পানি জমে ডুবে গেছে বিভিন্ন সবজির আবাদ।

চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহমত আলী জানান, করোনার কারণে এমনিতেই কয়েকবছর ধরে ধান-আবাদে লোকসান দিতাছি। এদিকে আজ ভোর রাইতে শিলাবৃষ্টিতে ধান ক্ষেতের যে ক্ষতি হইছে তা পূরণ সম্ভব না।

সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষক আজগর আলী বলেন, ধার-দেনা কইরা জমিটুকুতে ধান লাগাইছি। গত কয়েকবছর করোনার কারণে অতটা লাভ করবার পারি নাই। এইবার ভাবছিলাম কয়ডা টেহ্যা বেশি দামে বেঁচমু। কিন্তু ক্ষেতের সব ধানগাছ শিলে নষ্ট হয়ে গেছে।

শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের কৃষক মফিল উদ্দিন বলেন, চার একর জমিতে বোরো আবাদ করেছিলাম। এক রাইতেই সব শেষ হইয়া গেল। 

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে বলেন, ভোররাতের শিলাবৃষ্টিতে শেরপুরে বোরো আবাদের ক্ষতি হয়েছে। জেলায় প্রায় পাঁচশ হেক্টর জ‌মির ক্ষয়ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে ইতোমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া দূর্যোগ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা হাতে পেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে পারব।


উইমেনআই২৪ ডটকম//এল// 
দৈনিক দেশতথ্য//এল//
জনতারকন্ঠ//এলএইচ//
চিত্রদেশ//এফটি//
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর/