ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ২১:২৪:১৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাবে ১৪ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট। এই নির্বাচন ব্যাহত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করা হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে।

বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের সভায় এ অবস্থান ও প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসার মধ্যে যখন প্রতিপক্ষ বিএনপি সরকার পতনে এক দফার আন্দোলনে নেমে জোট বাদ দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কৌশল নিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকদের তৎপরতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে, তখন দীর্ঘদিন পর নিজেদের জোটসঙ্গী দলগুলোর নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে গণভবনের এই বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি জোটের সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

এ সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির আন্দোলন এবং নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী নির্বাচনসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি, জনজীবনে বিভিন্ন সংকট নিয়েও জোটের নেতারা কথা বলেছেন বলে জান যায়।

সূত্র জানায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন বানচালের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। নির্বাচনে ১৪ দলগতভাবে আমরা অংশগ্রহণ করবো। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

এ সভায় ১৪ দলের নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মত পোষণ করেছেন ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি প্রচার ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে মাঠে নামার। আগস্ট মাস শোকের মাস, শোকের কর্মসূচির ওপরই বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

১৪ দলের নেতারা বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই এই সময় দায়িত্বে থাকবে। বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে সফল হতে না পারে। সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

১৪ দলের এ সভায় থেকে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসীম সাহসিকতা প্রজ্ঞা, সততা ও দক্ষতা নিয়ে যখন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন বাংলাদেশকে তার সৃষ্টির মূল আদর্শ থেকে জাতিকে বিচ্যুত করার এক সুগভীর ষড়যন্ত্র চলছে। চক্রান্তকারীরা অপশক্তির সহায়তায় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি শক্তির অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপকে উৎসাহিত করছে।

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ১৪ দল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জনগণের স্বার্থ পরিপন্থি কোনো প্রকার অসাংবিধানিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোট কখনো আপস করবে না। কেন্দ্রীয় ১৪ দল রাজপথে থেকে সকল প্রকার অপশক্তিকে মোকাবেলা করবে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশকে বিনির্মাণের লক্ষে জোটগতভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, পলিট ব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি জহির হাসান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের সভাপতি আইভী আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী আজাহার, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান অংশ নেন।